এশিয়ায় সমকামী পুরুষ এবং ক্লিবদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। জাতিসংঘের তৈরি এক প্রতিবেদনে এমনটাই শঙ্কার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, শাস্তিমূলক আইনের কারণে এদের বেশিরভাগই কোনও ধরনের পেশা ও সেবার আওতায় না গিয়ে নিজেদের লুকিয়ে ফেলছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পরিণত বয়সী পুরুষ ও ক্লিবদের সমকামকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা আইনের পরিবর্তন যদি এশিয়ার দেশগুলি না আনে তাহলে অবস্থা খুব খারাপের দিকে যেতে পারে।
এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৪৮ টি দেশের মধ্যে ১৯ টি দেশই পুরুষদের সমকামকে অপরাধ হিসেবে দেখে। আর এ সংক্রান্ত আইন তাদেরকে জোর করে নজরদারির মধ্যে নিয়ে আসে এবং প্রায়শই মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনে সহায়ক হয়ে দাঁড়ায়।
এমনকি যে সব দেশে সমকাম কোন আইনি অপরাধ নয়, সেখানেও সমকামী পুরুষ ও ক্লিবরা পুলিশের দ্বারা নির্যাতিত হয়। এ ছাড়াও অশ্লীল আচরণ, যৌনব্যবসা ও ভবঘুরে সংশ্লিষ্ট অভিযোগে পুলিশ তাদের হয়রানি করে থাকে।
ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি), এশিয়া প্যাসিফিক কোয়ালিশন অন মেল সেক্সুয়াল হেলথ (এপিসিপিএম) ও হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর কমপ্যারেটিভ অ্যান্ড পাবলিক ল যৌথভাবে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, এশিয়ার অনেক দেশেই সমকামী ও ক্লিবদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার বাড়ছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বর্তমানে পুরুষ সমকামী ও ক্লিবদের মধ্যে এইচআইভি বহনকারীর হার ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ। সে তুলনায় দেশটিতে প্রাপ্তবয়স্ক সাধারণ মানুষের মধ্যে এ হার ১ দশমিক ৪ শতাংশ।
মায়ানমারে ইয়াংগুনে সমকামী ও ক্লিবদের মধ্যে এইচআইভি বহনকারীর হার ২৯ দশমিক ৩ শতাংশ যেখানে দেশটিতে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই হার শূণ্য দশমিক ৭ শতাংশ। এদিকে মুম্বাইয়ে এ হার ১৭ শতাংশ যেখানে সারা ভারতে এইচআইভি বহনকারীর হার শূণ্য দশমিক ৩৬ শতাংশ।