১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | রাত ৪:৩৮
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
সংসদে মুন্সিগঞ্জের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেল কলেজ চাইলেন মৃণাল কান্তি দাস
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২২ জানুয়ারি, ২০২৩, আমার বিক্রমপুর ডেস্ক (আমার বিক্রমপুর)

মহান জাতীয় সংসদে বক্তব্য দিতে গিয়ে মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, ‘ইতিহাস প্রসিদ্ধ একটি এলাকা। যে এলাকায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন শ্রী অতীশ দীপঙ্কর। জ্ঞান বিস্তারের জন্য যিনি সেই সময়ে সূদুর চিন পর্যন্ত গিয়েছিলেন। সেই এলাকার মানুষ একটি পাবলিক ইউনিভার্সিটি, একটি পাবলিক মেডিকেল কলেজ পাবে না। সরকারের দ্বিঘোষিত নীতি অনেক জেলায় হচ্ছে। আমার জেলার মানুষ শুধু জিজ্ঞেস করে, এটি আমাদের কবে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি কড়জোরে আবেদন করবো- নিবেদন করবো, ইতিহাস প্রসিদ্ধ এই এলাকা শ্রী অতীশ দীপঙ্কর, জগদীশ চন্দ্র বসু, সিআর দাসসহ (দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস) বহু মনিষীর এই প্রিয় জন্মস্থলে আপনি এই বিশ্ববিদ্যালয় দুইটি নির্মাণ করলে আমরা কৃতজ্ঞ হবো।’

জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রসঙ্গক্রমে মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ‘পদ্মা নদীর পাড়, মেঘনা নদীর পাড়, গোমতি নদীর পাড়, ধলেশ্বরীর পাড়, শীতলক্ষ্যার পাড় এই এলাকায় রয়েছে অনেক চর, অনেক হাওর-বাঁওর সেখানকার মানুষ অনেক কষ্টে আছে। বন্যায় নদী ভাঙে, জায়গা নষ্ট হয়। রয়েছে ভূমিদস্যুতা, রয়েছে বালুদস্যুতা। বালুদস্যুরা মানুষের ভূমি কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে আর ভূমিদস্যুরা আমার প্রধানমন্ত্রী চান এক ইঞ্চি জমিও যাতে বিনাচাষ না থাকে। আর এই বালুদস্যুরা মানুষের জমিগুলো দিনেদুপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় ভেকু দিয়ে চার-পাঁচ ফিট মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা চাষ-বাস করতে পারে না। জেলা প্রশাসনকে জানাই, পুলিশ প্রশাসনকে জানাই। কোথাও সহযোগিতা পাই না। অসহায় এমপি- তার এলাকার মানুষের জান-মালের, জীবন রক্ষা করতে।’

আজ রোববার সন্ধ্যায় প্রায় ১৭ মিনিটের বক্তব্যকালে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।

মৃণাল কান্তি দাস জাতীয় সংসদে তার বক্তব্যে আরও বলেন ‘এলাকার মানুষের কল্যাণে আমি এই পার্লামেন্টে আসার সুযোগ পেয়েছি। মনোনয়ন দিয়েছেন দেশরত্ম শেখ হাসিনা। কিন্তু এলাকার মানুষও তো আমার আছে। সেখানকার সমস্যা সমাধানের জন্যে প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছু দিয়েছেন। সেতুমন্ত্রীও দিয়েছেন। তারপরও আমি বলবো ছনবাড়ি থেকে মুক্তারপুর পর্যন্ত যে সড়কটি প্রশস্তকরণ চলছে, ব্রিজগুলো নির্মাণ চলছে। গতি শ্লথ, একটু দ্রুত যদি করেন তাহলে আমার এলাকার মানুষ কষ্ট থেকে বাঁচে।’

তিনি এসময় আরও বলেন, ‘২২৫০ কোটি টাকা দিয়েছেন সেতুমন্ত্রী। পঞ্চবটি থেকে মুক্তারপুর ফ্লাইওভার এবং ফোরলেন করতে। জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া আমলাতান্ত্রিক কারণে শ্লথ হয়ে আছে। একটু গতি দিন। কাজগুলো যদি একটু দৃশ্যমান হয় এলাকার মানুষের কাছে আমরা মুখটা, আপনাদের মুখটা, আওয়ামী লীগের মুখটা, সরকারের মুখটা, শেখ হাসিনার মুখটা ওবায়দুল কাদেরের মুখটা আমার চেয়েও অনেক অনেক ‍গুন বড় হবে। আওয়ামী লীগের প্রতি এই এলাকার মানুষের সমর্থন আরও বাড়বে।’

মৃণাল আরও বলেন, ‘একটি ব্রিজ অনেকদিন যাবৎ চেষ্টা করে যাচ্ছি। গজারিয়ার মানুষের দুর্ভোগ- ফুলদি নদীর উপর একটি ব্রিজ যদি করে দেন আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো। পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণের পর বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক গতিতে সঞ্চার আসবে। যদি মোংলা পোর্টের সাথে চিটাগং পোর্টের দূরত্ব কমাতে হয়। ঢাকা শহরের উপর যদি যানজট কমাতে হয় তাহলে মেঘনা নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের অবশ্যই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মুন্সিগঞ্জ শহরের পাশ দিয়ে যদি সেই সড়কটি বেরিয়ে যায় তাহলে আমার এলাকার মানুষ যেমন লাভবান হবে জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতিতেও সমধিক ভূমিকা রাখবে।’

সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমার শহরে একটি মিলনায়তন ছিলো (গণসদন)। বেশ কয়েক বছর যাবৎ বন্ধ। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তাও নির্মাণ করতে পারছি না। শিল্পকলা একাডেমিটির অবস্থা খুবই খারাপ। সংস্কৃতি মন্ত্রীকে একাধিকবার বলেছি যে, এই উপমহাদেশের সংস্কৃতি আন্দোলনের সূতিকাগার মুন্সিগঞ্জ তথা বিক্রমপুরের জেলা সদরে কেন একটি আধুনিক শিল্পকলা একাডেমি হবে না। তার দিকেও নজর দেয়ার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।’

error: দুঃখিত!