আত্মহত্যা কখনোই কোন সমস্যার সমাধান হতে পারে না। হতাশা, অভিমান, ব্যর্থতা, অপমান,ঝগড়া ,দাম্পত্য কলহ সহ নানাবিধ কারনে মানুষ আত্মহত্যা করছে। সংগ্রাম করে আত্মবিশ্বাসের সাথে বেঁচে থাকার নামই জীবন। জীবনে অনেক ভয়াবহ দূর্যোগ আসতেই পারে, সেটারও একটা সমাধান কোথাও না কোথাও আছে।
গতকাল রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। আত্মহত্যা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে পরিবার এবং সমাজ। কিশোর বয়স থেকেই নানাবিধ কারনে আত্মহত্যা নামক রোগটি যে কারো মনে বাসা বাঁধতে পারে। আশে পাশের কেউ না কেউ বুঝবেই মানুষটি আত্মহত্যা প্রবন হয়ে উঠছে। তখন হাসি তামাশা, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য,ব্যঙ্গ বিদ্রুপ না করে তাকে আপন করে নিতে হবে, প্রয়োজনে ‘মনোবিদ’দের শরনাপন্ন হওয়া যেতে পারে।
২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট আত্মহত্যার পরিমান ছিলো পঁয়ষট্টি লাখ, প্রতিবছর গড়ে আত্মহনন করে ১০,৪৮৪ জন,পুলিশের তথ্য অনুযায়ী প্রতি দিন গড়ে ২৮জন। বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম,সবচেয়ে আতঙ্কের ব্যাপার হচ্ছে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা ৭৫ শতাংশ । আমি এসব তথ্য পেয়ে রীতিমত আতঙ্কিত,যুদ্ধেও এতো মানুষ মারা যায়না । সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হলেও বাংলাদেশে এ নিয়ে খুব একটা কাজ হয়নি। সামাজিক সংগঠন ‘ইন্দ্রিয়’ আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমি সঙ্গে সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করি। সাথে রয়েছে তরুণদের সংগঠন ‘দ্যা রিপাবলিক অফ ইয়াং মিউজিশিয়ান’ বাংলাদেশ( জণগ-ই)। আগামী ১০ই সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা বিরোধী দিবস। ‘ইন্দ্রিয়’ এই দিনে র্যালী এবং মানববন্ধন করবে। ‘ইন্দ্রিয়’ কিংবা রাষ্ট্র- কারো একার পক্ষে এতবড় কাজ সম্পাদন সম্ভব নয়। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আত্মহত্যা বিরোধী চেতনা ছড়িয়ে দিন দেশব্যাপী। সবার ঐকান্তিক চেষ্টা থাকলে সফলতা আসবেই।