মুন্সিগঞ্জ, ৫ আগস্ট, ২০২১, শ্রীনগর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের এক সংখ্যালঘু পরিবারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বাঘড়া এলাকার আলম ডাক্তারের ছেলে নাজিবর (৩৮) ও সাজিবরের (৩০) বিরুদ্ধে একই এলাকার স্বপন কুমার দাস শ্রীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারী স্বপন কুমার দাস বলেন, গত ১ আগস্ট সকালে বাড়ির সামনে গাছ কাটছিলাম। পুর্ব শত্রুতার জের ধরে নাজিবর ও সাজিবর এসে আমার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমাকে মারধর কওে আহত করে। পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা গ্রহন করি। এর ক’দিন আগেও তারা আমাকে বলে ব্যবসা বাণিজ্য করে টাকা পয়সা ভালই কামাই করতাছো এখন থেকে আমাদেরকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিবি। তা না হলে এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারবি না। উপায় না পেয়ে শ্রীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
স্বপন দাসের পিতা ননী দাস বলেন, অভিযোগ দায়ের পর থেকে অভিযুক্তরা বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। পরিবার পরিজন নিয়ে এখন আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছি আমরা।
নাজিবরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, প্রতিবেশী স্বপন দাসের সাথে আমাদের বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। তবে স্বপন দাসকে মারপিট করার কথা স্বীকার করেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বপন দাসকে মারধর করার ঘটনায় সংখ্যালঘু পরিবারটি আমার কাছে এসেছিল।
এ ব্যাপারে অভিযোগটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শ্রীনগর থানার এসআই আপন কুমার মজুমদার জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।