২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ৯:৪৫
শ্রীনগরে ছাত্রদলের দুই কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা ছাত্রদলের দুই কমিটি নিয়ে চরম বিরোধ দেখা দিয়েছে। দলীয় সভা-সমাবেশগুলোতে দুই কমিটির নেতা-কর্মীদের পরিচয় দেওয়া নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা, এমনকি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ গত মঙ্গলবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রীনগর বিএনপির উদ্যোগে উপজেলা যুবদলের কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান চলাকালে উপজেলা ছাত্রদলের একাংশের এক নেতার মাথা ফাটিয়ে দেন অন্য অংশের নেতা-কর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বুলেট নামে ছাত্রদলের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সমাবেশে বক্তৃতাপর্ব চলাকালে ছাত্রদলের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ ওরফে মামুন মাইকে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি উল্লেখ করে ফারুক মৃধার নাম ঘোষণা করেন। এ সময় পদবি নিয়ে মামুনুরের সঙ্গে ফারুক গ্রুপের রুবেলের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষে ফারুক মৃধার মাথা ফেটে যায়। ওই সভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মমিন আলী, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ফারুক মৃধা বলেন, উপজেলা ছাত্রদলের ৭১ সদস্যের মধ্যে ৬০ জনের অনাস্থার কারণে যুবরাজ খান ওরফে কাজল-মামুনুরের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। পরে জেলা কমিটি তাঁকে (ফারুক) আহ্বায়ক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করে।

স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলেন, জেলা ছাত্রদল থেকে যুবরাজ খান ওরফে কাজলকে সভাপতি ও মামুনুর রশিদকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে এক বছর আগে ফারুক মৃধাকে আহ্বায়ক ও মো. সোবহানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে কমিটি করা হয়। সেই থেকে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে।

জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শ্রীনগরে দুই পক্ষের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনার কথা শুনেছি।’ তিনি বলেন, ‘এক বছর আগে শ্রীনগর উপজেলার আগের কমিটি বিলুপ্ত করে আমরা আহ্বায়ক কমিটি করেছিলাম। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন না দেওয়ায় আগের কমিটি বহাল থাকে। এ সমস্যার কারণে দুজনই পরিচয় দেন। তবে আমরা শিগগিরই কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দকে জানিয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের চেষ্টা করব।’

সূত্রঃ প্রথম আলো

error: দুঃখিত!