১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শনিবার | সকাল ১০:১৮
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
শ্রীনগরে গৃহবধূর কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় খুনি গ্রেফতার; পিবিআই’র তদন্তে আলামত উদ্ধার
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, শ্রীনগর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে নিখোঁজের প্রায় ২০ দিন পর কুলসুম বেগম নামে এক গৃহবধূর কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় ১০ দিনের মাথায় খুনি মো. সুমন শেখকে (৩১) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পিবিআই।

খুনি সুমন আটপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব হাঁসারগাঁও গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। সে ৩ সন্তানের জনক।

বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে পূর্ব হাঁসারগাঁও গ্রামে খুনী সুমনকে নিয়ে একটি পুকুরে আলামত উদ্ধারে অভিযান চালায় পিবিআই সদস্যরা। অভিযানে পুকুর থেকে কুলসুম বেগমের ব্যবহ্নিত একটি ভেন্টিব্যাগ উদ্ধার করা হয়। এসময় ব্যাগের মধ্যে থাকা সাড়ে ৫ হাজার টাকা, কুলসুম বেগমের পুত্র অয়নের জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি ভ্যাজলীন, চিরুনী, ডাক্তারের ব্যবস্থা পত্র, এনজিও সদস্য বইসহ ইত্যাদি পাওয়া গেছে।

দেখা গেছে, এই হত্যাকান্ডে ব্যবহ্নিত ধারালো দা/চাপাতি পুকুর থেকে তোলার জন্য স্থানীয় কয়েকজন চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে ঢাকা থেকে ডুবোরী আসেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ধারালো অস্ত্রটি উদ্ধার কাজে ডুবুরীদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এসময় খুনিকে দেখতে ওই পুকুর পাড়ে শতশত নারী পুরুষ ভীড় জমান।

কুলসুম বেগমের ভাই ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের কামরাঙ্গীরচর থানার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন দাবি করে বলেন, প্রতিবেশী খুনি সুমন তার বোনের কাছ থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকা নেয় ভাগিনাকে বিদেশ পাঠানোর নামে। মূলত এই টাকা চাইতে গেলে সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে কুলসুমকে হত্যা করে।

কুলসুমের মা আলেয়া বেগম বলেন, খুনিকে গ্রেফতারের খবর পেয়ে আসি। এ ঘটনায় খুনির ফাঁসির দাবি করেন তিনি।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মুন্সিগঞ্জ জেলার পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এমদাদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, খুনির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুকুরে অভিযান করে একটি ভেন্টিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় ব্যাগের মধ্যে একটি ওরনা, নগদ টাকা, ভিক্টিমের ছেলে অয়নের এনআইডি কার্ড, একটি এনজিও’র সদস্য বইসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পাওয়া যায়। এই হত্যাকান্ডে ব্যবহ্নিত ধারালো অস্ত্রটিও উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

হত্যাকান্ডের সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মামলার তদন্তের সার্থে এখন এর বেশী কিছু বলা যাচ্ছেনা। এসয়ম উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ পরিদর্শক (পিবিআই) এসআই মো. মনোয়ার হোসেন, শ্রীনগর থানার এসআই আপনসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুরের দিকে উপজেলার পূর্ব হাঁসারগাঁও এলাকা থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় কাঙ্কালের পাশে থাকা সেন্ডেল, চুলের ব্যান্ড ও জামা কাপড় দেখে অরিন নামে এক স্কুল ছাত্রী শনাক্ত করেন কঙ্কালটি তার মা কুলসুম বেগমের। কুলসুম বেগম পূর্ব হাঁসারাগাঁও গ্রামের মো. ইকবাল শেখের স্ত্রী। সে একই উপজেলার তন্তর ইউনিয়নের রুসদী গ্রামের আলী আকবর মোড়লের কন্যা। মা কুলসুম বেগমের কঙ্কাল উদ্ধারের পরে শ্রীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন পুত্র অয়ন (২০)।

error: দুঃখিত!