২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ১০:৫৫
শ্রীনগরে গরুর হাটের ইজারায় সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিতে বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট!
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১৭ জুলাই, ২০২০, শ্রীনগর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

সারাদেশে আওয়ামী লীগের কোন দুর্নীতিবাজ ধরা পড়ার সাথে সাথে অনেক ক্ষেত্রেই বের হয়ে আসে আওয়ামী লীগে ওই দুর্নীতিবাজ হাইব্রিড বা বিএনপি-জামাতাদের সাথে কানেকশন। আড়ালে থেকে যায় আওয়ামী লীগের পোক্ত আসন পেতে সিঁড়ি হিসাবে যারা ফায়দা লুটে তাদের নাম।

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া গরুর হাট নিয়ে গঠিত সিন্ডিকেটে এই চিত্র উঠে এসেছে প্রকাশ্যে। সিন্ডিকেটের সুবিধা নিতে বিএনপি নেতাদের দেওয়া হয়েছে সব চেয়ে বড় ভাগ। বাদ পড়েননি বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে আসা নেতাও।

বুধবার বাঘড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সিন্ডিকেটে ভাগাভাগির পর তারা ক্রয়কৃত ২০টি সিডিউলের বিপরীতে বৃহস্পতিবার ৩ টি সিডিউল ড্রপ করে। এতে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকায় হাটের ডাক পান। গত বছর কোন সিন্ডিকেট না থাকায় হাটের ডাক উঠেছিল ১২ লাখ টাকার উপরে। সিন্ডিকেটের কারনে এবছর রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার শিডিউল ড্রপের আগে বাঘড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে বুধবার বসে ভাগাভাগির মিটিং। ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে লেখা হয় ভাগের হার।

এতে দেখা যায়, ইউনিয়ন বিএনপিকে দেওয়া হয়েছে ১৫ ভাগ, বাঘড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির ১০ ভাগ, ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ১১ ভাগ, বিএনপির স্থানীয় এক নেতার ৬ ভাগ ও এক সময়ের বিএনপির ব্যানারে ইউপি নির্বাচন করা এক প্রার্থী যিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা তাকে দেওয়া হয়েছে ৩ ভাগ। মুন্সিগঞ্জ ১ আসনে ক্ষমতাসীন বিকল্প ধারার ভাগে পরেছে ৩ ভাগ। চেয়ারম্যানের এক ইতালী প্রবাসী আত্নীয়কে দেওয়া হয়েছে ১ ভাগ।

অপরদিকে ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগকে দেওয়া হয়েছে ৩ ভাগ করে।
ভাগাভাগির সময় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে বাঘড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ভাগাভাগির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে কারা লিখেছে তা আমি জানিনা।

বাঘড়া ইউনিয়ন যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগ ও ক্ষমতাসীন বিকল্পধারাকে নাম মাত্র ভাগ দিয়ে বিএনপি ও বিএনপি থেকে আসা নব্য আওয়ামী লীগারদেরকে বড় ভাগে সিন্ডিকেটে রাখতে দ্বিধা না করায় বাঘড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

অপরদিকে রিজেন্ট হাসপাতালের শাহেদের উদাহরণ টেনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের লোভের কারণে বিএনপির সাথে মিশে যাওয়ার ঘটনায় সাধারণ মানুষ ছি ছি করছে।

error: দুঃখিত!