শ্রীনগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার সকাল দশটার দিকে উপজেলার বাঘরা ইউনিয়নের কাঠালবাড়ী এলাকায় মামুন ও সবুজ আলী গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই র্যাব-১১ ও শ্রীনগর থানা পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানে নামে।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাহিদুর রহমান জানান, দুপুর দুইটার দিকে মামুন, সবুজ আলী ও আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় সবুজ আলীর ঘর থেকে একটি দোনলা বন্দুক এবং মামুন মাদবরের ঘর থেকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় জমিজমার বিরোধ ও অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সবুজ আলী মাদবর ও মামুন মাদবরের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় সবুজ আলী গ্রুপের লোকজন ৮ থেকে ১০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এতে কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও মুহুর্তের মধ্যে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। পরে দুপক্ষই লোকজন নিয়ে এলাকায় মহড়া দিতে থাকে।
ঘটনার পরপরই র্যাব ও পুলিশের দুটি টিম সবুজ আলী ও মামুনের বাড়ী সহ কয়েকটি বাড়ী ঘিরে ফেলে। দুপুর দুইটার দিকে সবুজ আলী,মামুন ও মামুনের ভাড়াটিয়া আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করে। এসময় সবুজ আলীর ঘর থেকে তার বাবার নামে লাইসেন্স করা একটি দোনলা বন্দুক ও মামুনের ঘর থেকে রামদা ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
আধিপত্য বিস্তারের দন্দ্বে স্বাধীনতার পর থেকে ওই এলাকায় শতাধিক খুনের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ব্যাতীত এই ইউনিয়নের সকল নির্বাচিত চেয়ারম্যানই দন্দ্বের কারণে খুন হয়েছেন।
সবুজ আলী বাঘরার ২০০১ এর আলোচিত ফাইভ মার্ডার মামলার আসামী আনোয়ার আলীর ছেলে।
অপরদিকে মামুন ফাইভ মার্ডার ঘটনায় নিহত মনোয়ার আলী চেয়ারম্যানের ভাই।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য দু পক্ষেরই আলাদা আলাদা বাহিনী রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়।