৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | সকাল ৬:৫৩
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
শেষ হলো পদ্মা সেতুতে রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২১ জুন, ২০২১, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

নানা প্রতিকূলতা সত্যেও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মান কাজ। কর্মযজ্ঞের ধারাবাহিকতায় সেতুতে সবগুলো স্প্যান বসানোর ৬ মাসের মাথায় এবার শেষ হলো রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ।

৬.১৫কিলোমিটারের মূল সেতু বসানো হয়ে গেছে ২হাজার ৯৫৯টি স্ল্যাব। গতকাল রোববার (২০ জুন) সকাল ১০টার দিকে সেতুর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১২ও ১৩নং পিয়ারের স্প্যানে শেষ রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ সমাপ্ত হয়। পদ্মা সেতুর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সেতুর মোট ২হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে শনিবার (১৯জুন) পর্যন্ত বসানো হয় ২হাজার ৯৫৮টি। রোববার (২০জুন) সকাল ৮টার দিকে সর্বশেষ ১টি স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হয়। বেলা ১০টার দিকে সে কাজ শেষ হয়। এর মধ্যদিয়ে রেলওয়ে স্লাব বসানোর কাজ শেষ হলো।

সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী সুত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতুতে রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হয়। অর্থ্যাৎ ২বছর ৮ মাস ২৬ দিন বা ২ বছর ৯ মাসের মাথায় বসানো হলো সবগুলো রেলওয়ে স্ল্যাব। এরপর সেতুর নিচ তলায় গ্যাস পাইপ লাইন স্থাপনের পর রেল লাইন বসানোর জন্য রেল লিঙ্ক প্রকল্পের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে সূত্রে আরো জানা যায়, রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো পাশাপাশি রোডওয়ে স্লাব বসানোর কাজও এগিয়ে চলছে। সেতুর মোট ২হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে বসানো হয়েছে ২হাজার ৬৮৯টি। আর বাকি আছে ২২৮টি। বাকি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজও এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর পর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে ২০২০সালের ১০ডিসেম্বর। একই সাথে চলতে থাকে রোডওয়ে, রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো সহ অন্যান্য কাজ।

সেতুর মূল আকৃতি দোতলা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।  কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

error: দুঃখিত!