সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি ও অগ্রাধিকার সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার পাশাপাশি নীতি নির্ধারকদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা পেতে ঢাকায় সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তার কার্যালয়ের শাপলা হলে তিনদিনের এ সম্মলনের উদ্বোধন করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলা প্রশাকদের সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন শেখ হাসিনা। জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ছবিও তোলেন তিনি।
সম্মেলনের প্রথম দিনে মোট পাঁচটি কার্য-অধিবেশন রয়েছে। দ্বিতীয় দিনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন জেলা প্রশাসকরা। এর বাইরে আটটি কার্য-অধিবেশন হবে।
সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনে পাঁচটি কার্য-অধিবেশন ছাড়াও রয়েছে সমাপনী অধিবেশন।
এর আগে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের জানান, ডিসি সম্মেলনে আলোচনার জন্য বিভাগীয় কমিশনারদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকরা ২৫৩টি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
এবার ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সবচেয়ে বেশি- ২৫টি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ২৪টি প্রস্তাব এসেছে।
ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম জোরদার করা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম-সৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষরণ দূষণ ও রোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কার্যক্রমের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় করা হবে এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে।
বরাবরের মতো এবারও নির্ধারিত কার্য-অধিবেশন ছাড়াও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে আলোচনা এবং সমাপনী অধিবেশন থাকছে।