মুন্সিগঞ্জ, ১১ মে, ২০২১, প্রধান প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)
দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঈদকে কেন্দ্র করে আজও ঘরমুখো মানুষের বাড়তি চাপ ছিলো। এদিকে ঘরমুখো মানুষের চাপে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে দিনের বেলা ফেরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে করে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ কমবে।
আজ সোমবার (১১ মে) সকাল থেকে ফেরি বন্ধের পূর্ব নির্দেশনা থাকলেও তিনটি ফেরিতে জরুরি লাশ ও রোগী বাহী অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের সঙ্গে ঘাটে আসা যাত্রীরা গাদাগাদি করেই নদী পার হন।
এমন পরিস্থিতিতে ঘাটে চাপ বুঝে ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি)।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার সালাউদ্দিন বিকালে জানান, এখন থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক। ঘাটে আটকে পড়া কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করে দিয়েছে। এখন সব ধরনের ফেরি চলাচল করবে। তাই ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের আর বিড়ম্বনা পোহাতে হবে না।
বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানান, বিধিনিষেধের কারণে রাতে মালবাহী যানের জন্য ফেরি চলাচল করে। আর দিনে শুধু লাশবাহী যান, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানের জন্য অল্প কিছু ফেরি বরাদ্দ করা আছে। কিন্তু ঈদে ঘরমুখী মানুষ বিশেষ প্রয়োজনে চলাচলকারী ফেরিগুলোতে হুড়মুড়িয়ে উঠে যাচ্ছেন। এ জন্য সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে