৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | রাত ৩:৩৯
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
শিমুলিয়ায় নারী সহ ৪ যাত্রীকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল (ভিডিওসহ)
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৫ এপ্রিল, ২০২১, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে নারীসহ ৪ যাত্রীকে মারধর করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।

জানা যায়, আজ রোববার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে শিমুলিয়ার ২ নম্বর ফেরিঘাটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার শীকার ব্যক্তিরা হলেন, ফিরোজা বেগম, মো. রাসেল, মো. নয়ন ও মো. রমজান। তাদের মধ্যে মারধরে নয়নের গাল কেটে যায়। তাদের সবার বাড়ি ফরিদপুর। কর্মসূত্রে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে থাকতেন তারা।

অভিযুক্ত শিমুলিয়া ঘাটের ৪-৫ জন টিকিটম্যানের মধ্যে একজনের নাম শামসুল হক। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

ভাইরাল হওয়া ভিডিও:

মার নানা মারা গেছেন। তাই মোহাম্মদপুর থেকে মা ও মামা-ফুপাতো তিন ভাই ফরিদপুর যাওয়ার জন্য ঘাটে আসি। ঘাটের এখান থেকে টিকি নেয়ার সময় টিকিটম্যান চাচাকে বলি, চাচা আমি টিকিট নিচ্ছি আমার লোক সামনে চলে গেছে। উনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে বলেন, টিকিট দে, টিকিট দে। তখন আমি বলি, ধাক্কা দিয়েন না, আমি তো টিকিট কাটবই। টিকিট না কেটেতো আমি উঠবো না। উনি আমার কথা না মেনে আমাকে ধাক্কা দিতে থাকেন। এর মধ্যে আমাকে থপ্পড় মেরে বসেন। আমার মা প্রতিবাদ করলে তাকে অকথ্য ভাষায় বকা দিয়ে ধাক্কা দেন। পরে আমি উনাকে ধাক্কা মারি। এরপর তার লোকজন এসে আমাদের মারধর করতে থাকেন।’

আরেক ভুক্তভোগী নয়ন বলেন, ‘আমাকে ছাতা দিয়ে গুতা দিয়ে গলা কেটে ফেলেছে। পেছন থেকেও ২-৩ জন এসে থাপ্পড় দিয়েছে।’

ফিরোজা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে বলছিল, টেকা দে। আমরা বলছিলাম, আমাদের লোক যার কাছে টাকা সে সামনে গেছে, সামনে গিয়ে আমরা টিকিট কাটছি। এর মধ্যে আমাকেসহ ছেলে ও ভাগ্নে-ভাতিজাকে মারধর করতে থাকেন তারা। বিচার চাওয়ার কোনো জায়গা নেই।’

এদিকে মারধরের অভিযোগ স্বীকার করে টিকিটম্যান শামসুল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘তাদের টিকিট না থাকায় আমি কাটতে বলেছি। তারা ফেরিতে উঠতে চাইছে। আমাকে একজন ছেলে থাপ্পড় দেখাইছে। ওই মহিলা জুতাও দেখাইছে। তাই আমাদের লোকজন তাদের মারধর করছে। পরে আমিও কয়টা দিছি। তবে মহিলারে আমরা মারিনি।’

এ বিষয়ে মাওয়া নৌ পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসএসআই) মো. বারেক জানান, ‘আমি ঘটনাস্থলের অদূরে থেকে জটলার বিষয়টি দেখে এগিয়ে যাই। কথা কাটাকাটিতে ওই নারীকে ধাক্কা দিয়েছে। এটা নিয়ে জটলা বাধে। পরে যাত্রীদের ফেরিতে তুলে দিই।’

টিকিটম্যানদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি আমি বলতে পারবো না। এখানে মূলত ট্রাফিক সার্জেন্ট রাসেলের দায়িত্ব ছিল।’

যোগাযোগ করা হলে সার্জেন্ট জানান, ‘আমি দায়িত্বে ছিলাম ঠিক, তবে ঘাট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মানুষ পার হয়, ঘটনাটি আমি প্রত্যক্ষ করিনি। পরে নৌ-পুলিশের এএসআই বারেক আমাকে বিষয়টি জানান।’

error: দুঃখিত!