মুন্সিগঞ্জ, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, আরাফাত রায়হান সাকিব (আমার বিক্রমপুর)
উজান থেকে নেমে আসা পলিতে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটের চ্যানেল গুলো নাব্যতা সংকট তীব্র আকার ধারন করেছে। নাব্যতা সংকটে বিগত কিছুদিন ব্যাহত হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার সকালে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় নৌরুটের ফেরী চলাচল।
শনিবার টানা ৩য় দিনেও সকল প্রকার ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় সকাল থেকে ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পরে আছে কয়েক শতাধিক যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস সহ ছোট ও মাঝারি যানবাহন।
তবে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস বিকল্প রুট পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া চলে গেলেও শিমুলিয়া ঘাটে বিপাকে পরেছেন দীর্ঘ দিন ধরে পদ্মা পারাপারের অপেক্ষমান পন্যবাহী ট্রাক ও কাভ্যার্ডভ্যানের শ্রমিকরা। পদ্মা পারের অপেক্ষায় র্দীঘ থেকে র্দীঘতর হচ্ছে তাদের অপেক্ষা।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় বেশকিছু যানবাহন নিয়ে কে-টাইপ ফেরী কলমীলতা শিমুলিয়া ঘাট থেকে কাঠালবাড়ীর উদ্দ্যেশ্যে ছেড়ে যায়, পরে মাঝ পদ্মায় ফেরীটি চ্যানেলের মুখে গিয়ে ডুব চরে আটকা পড়লে দীর্ঘক্ষন চেষ্টার পরে ফেরীটি পুনরায় শিমুলিয়া ঘাটে ফিরে আসে। এরপর নতুন করে আর কোন ফেরী চলাচল করেনি। তবে নৌ-রুটে লঞ্চ ও সি-বোট চলাচল এখনো স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে ফেরী চালু না হওয়ায় ঘাটে দিনের পর দিন ট্রাক ও পন্যবাহী যানবাহনগুলোর অপেক্ষা বাড়ছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত ঘাটে ২শতাধিক ট্রাক রয়েছে বলে বিআইডাব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে। এসব ট্রাকের অধিকাংশই ঘাটে অবস্থা করছে গত ৭-৮দিন যাবত। এতে অর্থ-খাদ্য সংকট আর হতাশার মধ্যে দিন পার করছে এসব যানবাহনের চালক ও শ্রমিকরা।
ট্রাক চালক ও শ্রমিকরা জানায়, গন্তব্যে পন্য পৌছাতে পারলে ভাড়া যে পাবেন তার বেশিরভাগই খরচ হয়ে গেছে এবারে ট্রিপে। এতে লাভের চাইতে লোকশান গুনতে হবে তাদের। তার উপরে দিনের পর দিন দূর্ভোগে নাকাল অবস্থা তাদের।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগ বলছে, চ্যানেলে নাব্যতা সংকট কাটিয়ে উঠতে বর্তমানে ৯টি ড্রেজার দিয়ে পলি অপসারণের কার্যকর্ম এখনো চলমান আছে। এখন পর্যন্ত নৌরুটের চায়না চ্যানেলে ২৫হাজার ঘন মিটার পলি অপসারণ করা হয়েছে। এভাবে ড্রেজিং চলতে থাকলে নাব্য সংকট কাটিয়ে উঠতে আরো ৫ থেকে ৬ দিন সময় লাগবে ।
আর এসব যানবাহনকে বিকল্প রুট ব্যাবহারের জন্য অনুরোধ- করেছেন বিআইডব্লিউটিসি কতৃপক্ষ। আর এরমধ্যেই শিমুলিয়া ঘাটের ১৬টি ফেরীর মধ্যে ৩টি ফেরী পাটুরিয়া ঘাটে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির উপ মহা-ব্যাবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, চ্যানেলের নাব্যতা সংকট কাটিয়ে না উঠা পর্যন্ত কোন প্রকার ফেরি চলাচল চালু করা সম্ভব নয়। তাই শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি রুটের যানবাহনকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া হয়ে পার হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।