মুন্সিগঞ্জ, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান শান্তি-শৃঙ্খলা উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দিন। নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করুন।
গতকাল ২৫ ডিসেম্বর সদর উপজেলার পঞ্চসার, রামপাল ও বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগকালে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রামপাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম বেপারি, আওয়ামী লীগ নেতা হারুন রশীদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জামিল সিদ্দিকী বাপ্পী, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহতাব উদ্দিন কল্লোল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, জেলা কৃষক লীগ সভাপতি শেখ মনিরুজ্জামান রিপন, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমান, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুন্সিগঞ্জ জেলা কমান্ডের সভাপতি জালাল উদ্দিন রুমি রাজন, পঞ্চসার ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জাহিদ হাসান, পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ইমরান হোসেন, আব্দুস সালাম, রামপাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কালাম বেপারি, মামুন মেম্বার, রামপাল ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাইদ হাসান সানি, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ পাভেল প্রমুখ।
মৃণাল কান্তি দাস বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চরম দারিদ্রতা, ক্ষুধা ও মঙ্গার মতো ভয়াবহ অভিঘাত থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলার মানুষ। এক সময়ের দারিদ্র্য পীড়িত, দুর্যোগ কবলিত খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এখন আর কেউ খাওয়ার কষ্টে মারা যায় না। খাদ্যের অভাব দূরকীরণের সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণেও সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিএনপি আমলে খাদ্য উৎপাদন ছিল মাত্র ১.৮ কোটি মেট্রিক টন। আর সেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে চলতি বছর ৪ কোটি ৯২ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন দানাদার শস্য উৎপাদিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার গৃহীত কৃষিবান্ধব নীতি ও কার্যক্রমে দানাদার খাদ্য, মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দ্বারপ্রান্তে। বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বে পাট ও কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয়, ধান ও সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আম ও আলু উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম, চা উৎপাদনে চতুর্থ, ইলিশ মাছে প্রথম, অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদনে তৃতীয় এবং বদ্ধ জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদনে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনই না শেখ হাসিনা ভূহিহীন-গৃহহীনদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করেছেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১৩ লাখের বেশি গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর নির্মাণ করে দিয়ে ৫০ লক্ষাধিক পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩২টি জেলা ও ৩৯৪টি উপজেলা গৃহহীন মুক্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে সকলের জন্য স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, মেধা বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষা গ্রহণের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। একইভাবে গ্রামীণ জনপদের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে দরিদ্র মানুষকে সরবরাহ করা হচ্ছে। গ্রামের মানুষ সহজেই প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারছে।