মুন্সিগঞ্জ, ১৯ জানুয়ারি, ২০২২, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
শতাধিক লোকজন নিয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় ঢোকার চেষ্টা করে পরে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফয়সাল বিপ্লব।
এদিকে মেয়রের এমন দাবির সাথে নিজের সহাবস্থানের কথা জানিয়েছেন মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি। তিনিও বলছেন, ‘মেয়র শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এসেছিলেন’।
আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর ১ টা’র দিকে শতাধিক লোকজন নিয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার গেটের ভেতর ঢুকে পড়েন মেয়র। বাইরে অবস্থান নেয় আরও ৩০-৪০ জন। পরে তারা ডিউটি অফিসারের রুম ও আসামি ফটকে ঢোকার গেটের সামনে দাড়িয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় মেয়র স্লোগানরতদের থামিয়ে ওসির রুমের দিকে চলে যান।
মেয়র ফয়সাল বিপ্লবের সাথে থানা বাউন্ডারির ভেতরে সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সোহেল, পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোহেল রানু, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাত হোসেন সাগর, ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সাত্তার মুন্সি, ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওলাদ হোসেন, মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুরুজ মিয়া সহ পৌরসভার কয়েকজন কর্মচারীকে অংশ নিতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিনহাজ উল ইসলাম ও মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক থানায় আসেন।
পরে তারা মেয়রকে নিয়ে ওসির জন্য বরাদ্দ সরকারি রুমে বসে কথা বলেন। এসময় মেয়রের সাথে আসা লোকজনকে থানার বাউন্ডারি থেকে বাইরে বের করে দেয়া হয়।
সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাত হোসেন সাগরের এলাকা পাঁচঘড়িয়াকান্দিতে গতকাল রাতে শহর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ওয়াহিদুজ্জামান বাবুলের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাবুল কাউন্সিলর সাগরকে মুল অভিযুক্ত করে গতকাল রাতে থানায় অভিযোগ দেন।
কাউন্সিলর সাগর জানান, গতকাল রাতে বাবুলের সাথে ঘটনার সময় তিনি ছিলেন না। অথচ তাকেই অভিযোগে মুল অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার দাবি, বাবুল আগে থেকেই নানা অপকর্মে জড়িত। সে হত্যা মামলারও আসামি। তার উপর এলাকার লোকজন ক্ষুব্ধ।
গত ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান বাবুল কাউন্সিলর সাগরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন৷
অন্যদিকে শহর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ওয়াহিদুজ্জামান বাবুলের বিরুদ্ধেও গতকাল রাতে মারধরের অভিযোগ এনে আরেকটি অভিযোগ দেন তার বিরুদ্ধে পূর্বের আরেক মামলার বাদী অপূর্ব।
আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল বলছেন, পৌরসভা নির্বাচনে বিরোধীতার জের ধরে গত কয়েকদিনে কাউন্সিলর সাগরের হুকুমে বেশ কয়েকটি সহিংস ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পুলিশ শক্তভাবে এগুলো দমন না করায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
থানা ঘেরাওয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে সদর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, পৌর মেয়র এসেছিলেন প্যানেল মেয়র সাগরের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি জানার জন্য।