মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বলঃ লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকের অভাবে রোগীরা সুচিকিৎসা হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
২০ চিকিৎসকের মধ্যে বর্তমানে ৮ জন চিকিৎসক রয়েছেন এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ২০টির মধ্যে ৯টি পদই শূন্য রয়েছে। বাকি ১১ জনের মধ্যে আবার ৩ জন আছেন প্রেষণে। ফলে ৮ চিকিৎসক দৈনিক ৩০০ থেকে ৪০০ রোগীকে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সঙ্কটও রয়েছে এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
জেনারেটর, পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতিসহ ছিমছাম অপারেশন থিয়েটার থাকা সত্ত্বেও এ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার না থাকায় বড় ধরনের অপারেশন করা হয় না এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার মুরাদ হোসেন ৪ মাস আগে ঢাকায় বদলি হয়ে গেছেন। সেই থেকে ছোটখাটো কাটাছেড়া ছাড়া বড় কোন অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি এ্যানেসথেসিয়া ডাক্তারের অভাবে গর্ভবতী নারীদের কোন সিজার করতে পারছে না পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। ফলে গরিব গর্ভবর্তী মায়েদের চিকিৎসার জন্য বিপাকে পড়তে হচ্ছে। অধিক টাকা খরচ করে তাদের অন্য কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বেগ পেতে হচ্ছে।
নাক-কান-গলা, চর্ম ও যৌন, চোখ ও দাঁতের কোন চিকিৎসক বর্তমানে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নেই। এই ধরনের রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা থেকে। বহির্বিভাগ ও জরুরী বিভাগে তাদের সামান্য চিকিৎসা নিয়েই বাড়িতে ফেরতে হচ্ছে। পরে ঢাকায় গিয়ে বেসরকারীভাবে তাদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। অনেক সময় গরিব রোগীদের অর্থের অভাবে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না।