২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সোমবার | সকাল ১০:২০
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
লঞ্চডুবি; ময়ূর লঞ্চের মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৩০ জুন, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌ দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’ ঘটানোর অভিযোগ এনে মামলা করেছে পুলিশ।

নৌ-পুলিশের এসআই শামছুল আলম মঙ্গলবার ভোর রাতে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, স্টাফ শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ-ছয়জনকে সেখানে আসামি করা হয়েছে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই বাছির উদ্দিন বলেন, মামলায় দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি ।

এমএল মর্নিং বার্ড নামের ওই লঞ্চটি সোমবার সকালে মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে যাত্রী নিয়ে সদরঘাটের দিকে আসছিল। শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ নামের আরেকটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়।

দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মীরা সেখানে উদ্ধার অভিযানে শুরু করে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে ৩০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। এছাড়া স্থানীয়রা আরও দুজনকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

লঞ্চডুবির প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর রাত সোয়া ১০টার দিকে একজনকে জীবিত উদ্ধারের কথা জানায় ফায়ার সার্ভিস। তবে ঠিক কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

সদরঘাটের একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে পেছন দিকে চলতে থাকা ময়ূর-২ এর ধাক্কায় তুলনামূলকভাবে আকারে অনেক ছোট মর্নিং বার্ডকে মুহূর্তের মধ্যে বুড়িগঙ্গায় ডুবে যেতে দেখা যায়।

সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর ওই ভিডিও দেখার কথা জানিয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার যে ধরন, তাতে তার মনে হয়েছে ধাক্কা দেওয়ার বিষয়টি ‘পরিকল্পিত’।

যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার কাছাকাছি এলাকায় নদীর মাঝখানে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উল্টে রয়েছে। মঙ্গলবার সকালেও সেটি উদ্ধার করা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, “লঞ্চটি এখনও উদ্ধার হয়নি। তবে ডুবুরিরা কাজ করছেন।”

error: দুঃখিত!