মুন্সিগঞ্জ, ১১ জুন, ২০২১, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত শেখ (২৮)।
ছাত্রলীগের গঠণতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগের নেতা হতে হলে থাকার কথা ছিলো ছাত্রত্ব। কিন্তু ছাত্রত্ব না থাকলেও এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মের হোতা হিসেবে পরিচিত প্রান্ত ‘বড় ভাইদের হাত ধরে’ পেয়ে যান ছাত্রলীগের পদ। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো প্রান্ত। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে যোগ দেন ছাত্রলীগে।
আরও পড়তে পারেন: রামপালে যুবক খুন: ছাত্রলীগের বড় নেতা হওয়ার স্বপ্ন ছিলো শোভনের
জানা যায়, প্রান্ত শেখ ২০১৬ সালে মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদকের পদ পান। তখনই তার কোন ছাত্রত্ব ছিলো না। এলাকায় মেয়েদের যৌন হয়রানি, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে নিজের প্রভাবপত্তি জানান দিতেন প্রান্ত।
এরপর ২০১৮ সালে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুরুজ মিয়া ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান এর হাত ধরে বনে যান রামপাল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। এরপর মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফয়সাল বিপ্লবের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের চেষ্টা করতে থাকেন প্রান্ত। বিভিন্ন সময় তার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মোটরসাইকেল বহর ও জনবল নিয়ে যোগ দিয়ে খুব তারাতারি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন প্রান্ত।
এভাবেই বেপরোয়া হয়ে উঠেন প্রান্ত। রামপাল, মিরকাদিম ও পঞ্চসার এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মারামারি, যৌন হয়রানি সহ একাধিক অপরাধের অভিযোগ ও মামলা রয়েছে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায়। সর্বশেষ যোগ হলো রামপাল কাজীকসবার নয়ন মিজি হত্যা মামলা। গতকাল (১০ জুন) রাতে প্রান্তকে ১ নং আসামী করে এই মামলাটি দায়ের করেন নিহতের মা রাশিদা বেগম।
আরও পড়তে পারেন: মুন্সিগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা ও কিশোর গ্যাং লিডার কুপিয়ে মারলেন যুবককে
আরও পড়তে পারেন: রামপালে যুবক খুন: প্রান্ত-শোভনের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ
আরও পড়তে পারেন: রামপালে যুবক খুন: ঘটনাস্থলে আগে যায় শোভন, ফোন পেয়ে যোগ দেয় প্রান্ত
এদিকে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক আজ সকালে ‘আমার বিক্রমপুর’ কে জানান, খুনের দায়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা প্রান্ত শেখ ও কিশোর গ্যাং লিডার শোভন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে মামলার এজাহারনামীয় দুইজন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এরা হলেন, সিপাহীপাড়ার রহমান তালুকদারের ছেলে তৌকির তাদুকদার (২৫) ও শাখারি বাজার এলাকার নাসির ভূইয়ার ছেলে নাহিদ (১৯)।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, চঞ্চল, শোভন তালুকদার, রনি, কাঞ্চন, তৌকির তালুকদার, নাহিদ ভূইয়া, আল আমিন এবং অমিম।