মুন্সিগঞ্জ ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, সিরাজদিখান প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন (ক্রিস্টমাস) আগামীকাল বুধবার। বড়দিন উপলক্ষে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের খ্রিস্টানপল্লীতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
উপাসনালয় ও বাড়িতে আলোকসজ্জা, গোশালা তৈরি, ক্রিসমাস ট্রি সাজানোসহ নানা প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ।
জানা যায়, বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে বাড়ি এলাকার দোকানগুলোকে ক্রিসমাস ট্রি রঙিন বাতি, বেলুন আর ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি রেস্টুরেন্ট, হোটেল ও পরিবারগুলোতে নানা ধরনের কেক, পিঠা ও বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। যিশু খ্রিস্টের জন্মতিথি সবার মাঝে হিংসা ও বৈষম্য দূর করবে বলে প্রত্যাশা সবার।
এদিকে সুষ্ঠুভাবে বড়দিন উদযাপনে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা যায়, উৎসব আয়োজন নির্বিঘ্ন রাখতে মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখানেও প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের ম্যানচেস্টার কানেটিকাট ইউএসএ সদস্য প্রশান্ত জন রোজারিও জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা এবং আগামীকাল সকাল থেকে বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। গির্জা ও এর আশপাশে রঙিন বাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর সুসজ্জিত করা হয়েছে।
ভেতরে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের ম্যানচেস্টার ইউথ ফোরাম প্রেসিডেন্ট উর্মি রোজারিও এবং সিরাজদিখান শুলপুর গির্জার ফাদার ড. লিন্টু ফ্রান্সিস ডি কস্তা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনকে প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক মহামতি যিশুর এদিন মাটির এ ধরাধামে আবির্ভাব ঘটে। দুই হাজার ১৪ বছর আগে এদিনে জেরুজালেমের বেথেলহেম শহরের এক গরিব কাঠুরের গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির গর্ভে জন্ম নেন যিশু।
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য যিশুখ্রিস্টের জন্ম হয়। ধর্ম প্রবর্তকের জন্মদিনটিকে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা তাই ধর্মীয় নানা আচার ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করে। এটি তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। তাই আজ গোটা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ও নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালন করছে তাদের সবচেয়ে বড় এ উৎসব।