১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শনিবার | সকাল ১০:২৮
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
রাত পোহালেই বড় দিন, মুন্সিগঞ্জে খ্রীষ্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২, জাহাঙ্গীর আলম চমক, সিরাজদিখান (আমার বিক্রমপুর)

২৫ ডিসেম্বর রোববার রাত ১২ টা ১ মিনিটে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড় দিন শুরু হবে। বড় দিনকে ঘিরে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের শুলপুর খ্রীষ্টান পল্লীতে চলছে সাজসাজ রব।

অতিথিদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছে মোবাইলের ম্যাসেজ, কার্ড আর পোষ্ট কার্ডে। অতিথি আপ্যায়ণে কোন রকমের ত্রুটি না রাখতে রাখা হচ্ছে রকমারি সব পিঠাপুলির আয়োজন। বাড়ির সামনে সাজানো হচ্ছে ক্রিস্টমাস ট্রি। অপেক্ষার দিনক্ষণ শেষ হতে বেশি সময় দেরি না হলেও জেলার একমাত্র খ্রীষ্টান পল্লীর পরিবারগুলো এখন মহাব্যস্ত।

উপজেলার শুলপুর ‘সাধু যোশেফ গির্জায়’ সাজানো হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ঝলমলে আলোক সজ্জায়। গির্জার অভ্যন্তরে দৃষ্টিনন্দন ভাবে ডিসপ্লে করা হবে কুড়ে ঘরের অভ্যন্তরের মাদার মেরীর কোলে যীশুখ্রীষ্টের প্রতিচ্ছবি। প্রাার্থনা করতে আগত পূণ্যার্থীদের আগমন নিরবিচ্ছিন্ন করতে তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ ভলান্টিয়ার টিম। সব মিলিয়ে আগাম উৎসব চলছে জেলার একমাত্র খ্রীষ্টান পল্লী শুলপুর গ্রামে।

সিরাজদিখান উপজেলার ৩টি গ্রামের প্রায় ৩৮৫ টি পরিবারে উৎসব পালনের প্রস্ততি চলছে। খ্রীষ্টান ধর্মালম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ২৫ ডিসেম্বর আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি। এদিকে দিনটিকে জাঁকজমকভাবে ধর্মীয় ভাব-গম্ভীর পরিবেশে পালনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন খ্রীষ্টান পল্লীর বাসিন্দারা। চারিদিকে নানা রং-বেরংয়ে সাজিয়েছেন প্রত্যেকটি বাড়ি ।

সাধু যোাশেফ গির্জার ফাদার লিন্টু ফ্রান্সিস ডি কস্টা বলেন, বড় দিন উদযাপনে আমাদের প্রার্থনা থাকবে দেশে দেশে যেন শান্তি বিরাজ করে এবং দেশের খ্রিস্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যকার বিরাজমান সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।

এ দিনটিকে কেন্দ্র করে খ্রীষ্টান ধর্মালম্বীদের আয়োজন হয় অনেক জাকজমক। যে কারনে এই দিনকে কেন্দ্র করে সকল আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিও থাকে অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশী। নির্বিঘ্নে ধর্মীয় ও অন্যান্য উৎসব পালনের জন্য নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

কেয়াইন ইউপি সদস্য নয়ন রোজারিও জানান, পুলিশ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে সার্বিক সহযোগিতা করছে বলেই আমরা স্বত:স্ফুর্তভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। তাছাড়া এ উপজেলায় অন্যান্য ধর্মালম্বী লোকজন আমাদের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অনুষ্ঠানকে আরোও মুখরিত ও প্রাণবন্ত করে তুলবে।

সিরাজদিখান সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত জানান, খ্রীষ্টান ধর্মালম্বীদের সাথে আমি দেখা করেছি, পুলিশও মোতায়েন আছে। তাদের সবচেয়ে ধর্মীয় বড় দিনের উৎসবকে যথাযথভাবে পালনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

error: দুঃখিত!