মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর এসোসিয়েশন ইন্ক-এর বাৎসরিক বনভোজন গত ২ আগস্ট ইং রবিবার পাখি ডাকা ও ছায়াঘেরা ইস্ট কাউন্টির হ্যাকশায়ার পার্কে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। প্রবাসী মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুরবাসীসহ সহস্রাধিক বাংলাদেশী ভাইবোনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত বনভোজনটি পরিণত হয় মিলনমেলায়।
বনভোজনের শুভ উদ্বোধন করেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীর। এ পর্বে আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানান সংগঠনের সভাপতি রুহুল আমিন সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক মো. নওশেদ হোসেন সিদ্দিক, বনভোজন কমিটির আহŸায়ক ও বাংলাদেশ কার ও লিমোজিন এসোসিয়েশনের সভাপতি আবু রব বাবুল ও সদস্য সচিব মাসুম বেপারী।
এসময় অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর এসোসিয়েশন ইন্ক-এর প্রধান উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি এম. আজিজ, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম হাওলাদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর এসোসিয়েশন সাবেক সভাপতি মো. মহিউদ্দিন দেওয়ান, বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন মজুমদার, বরিশালের সাবেক এমপি মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ওয়াসি চৌধুরী, সংগঠনের উপদেষ্টা এম এ সিদ্দিক পল্লব, শহিদুল আলম খান, প্রবীণ সাংবাদিক মাহমুদ খান তাসের, আজিজুর রহমান, মো. নিজাম উদ্দিন মিয়া, কাজী আজহারুল হক মিলন, আতাউর রহমান ও বাতেন সরকার।
আরো উপস্থিত ছিলেন লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমান, সাবেক আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাহিত্য সম্পাদক মো. আব্দুল মান্নান, সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, মো. ইকবাল হোসেন, শেখ শওকত উজ্জল, লুৎফর রহমান, জয়নাল আবেদীন আমান, নাজমুল আলম শ্যামল ও মিঠু হামিদ।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় জ্যাকসন হাইটসের ৭২ স্ট্রিট-ব্রডওয়ে থেকে ৬টি বিলাসবহুল বাস ও দুই শতাধিক প্রাইভেট কারযোগে পিকনিকের জন্য রওনা হয়। পার্কে পৌঁছার সাথে সাথে সকালের নাস্তা পরিবেশন করা হয়। নাস্তা পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন মো. মঈন, আতাউর রহমান আতা, মিঠু হামিদ, জহিরুল ইসলাম বিল্টু, তারেক হাসান, উত্তম কুমার, মো. বিল্লাল, শাহেদ আলী ও সাখাওয়াত হোসেন রিটু।
নাস্তা পর্ব শেষ হওয়ার পর তরমুজ পরিবেশন করে শেখ শওকত উজ্জল, তারেক হাসান, এম এ রশীদ, আনিস তালুকদার, আবুল বাশার, মোখলেসুর রহমান ও আতাউর রহমান আতা।
তরমুজ পরিবেশনের পর শুরু হয় তান্দুরি চিকেন পরিবেশন। এ পর্ব পরিচালনা করেন মুন তালুকদার, মো. মঈন, জয়নাল আবেদীন আমান, মিঠু হামিদ, জহিরুল ইসলাম বিল্টু, তাজুল ইসলাম, নাসির বেপারী ও কামাল আহমেদ আজাদ।
এরপরই শুরু হয় খেলাধূলা পর্ব। পর্বটি পরিচালনা করেন সংগঠনের ক্রীড়া সম্পাদক মো. কাজল ইসলাম তাজুল, এম এ রশীদ ও মো. সোহরাব হোসেন। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন এম এ সিদ্দিক পল্লব, আব্দুর রহিম হাওলাদার, শহিদুল আলম খান, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান ও মহিউদ্দিন দেওয়ান। খেলাধূলায় বিভিন্ন ইভেন্টের মধ্যে ছিল শিশুদের দৌড় প্রতিযোগিতা, দুই শতাধিক নারীর অংশগ্রহণে মিউজিক পিলো, যুগলদের ডিম নিক্ষেপ, বালদের দৌড়, যেমন খুশি তেমন সাজো ও ফুটবল প্রতিযোগিতা।
খেলাধুলার পর মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন অতিথিরা। মধ্যাহ্নভোজ পরিবেশনে সহযোগিতা করেন আপ্যায়ন সম্পাদক মো. মঈন, তাকে সহযোগিতা করেন আব্দুর রহিম হাওলাদার, মহিউদ্দিন দেওয়ান, আতাউর রহমান আতা, জয়নাল আবেদীন আমান, মিঠু হামিদ, নূরুল ইসলাম চৌধুরী আরজু, শেখ শওকত উজ্জল, মো. সোহরাব হোসেন, মো. বিল্লাল, সাখাওয়াত হোসেন রিটু, মো. কাজল ইসলাম তাজল, কামাল হোসেন, সেলিম রেজা, এম এ রশীদ, বেলায়েত হোসেন সঞ্চয়, শিপন খান, লুৎফর রহমান, মুকুল খান, মানিক বাবু, আকরাম হেগাসেন বিপ্লব, শংকর দেবনাথ, এনায়েত হোসেন, নাজিরুল ইসলাম নাজু, জগদীশ নাথ, আতিকুর রহমান ও কামাল আহমেদ আজাদ।
মধ্যাহ্ন ভোজের পরপরই সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক করিম হাওলাদারের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয়। এতে সংগীত পরিবেশন করেন বাউল শিল্পী ঢাকা থেকে আগত বাউল শিল্পী শফি মন্ডল, প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী সোমা রহমান ও করিম হাওলাদার।শেষ বিকেলে সংগঠনের আপ্যায়ন সম্পাদক মো. মঈন ও আবুল বাশার এবং বাংলাদেশ কার ও লিমোজিন-এর সহযোগিতায় বিকালের নাস্তা, ঝালমুড়ি ও চা পরিবেশন করা হয়।
সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় রাফেল ড্র। এ পর্বের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন নওশেদ হোসেন সিদ্দিক ও মাসুম বেপারী। র্যাফেল ড্র সহযোগিতা করেন শেখ শওকত উজ্জল, মো. বিল্লাল, তারেক হাসান, মোখলেসুর রহমান,আনিস তালুকদার, আতাউর রহমান ও ফকির আলাউদ্দিন। র্যাফেল ড্রতে আকর্ষণীয় পুরস্কারের মধ্যে ছিল এনওয়াই ইন্সুরেন্সের স্বত্তাধিধারী মো. শাহনেওয়াজের সৌজন্যে নিউইয়র্ক-ঢাকা রিটার্ন এয়ার টিকেট, মীনা বাজারের সৌজন্যে আইফোন-৬ এবং আশরাফুল ইসলাম জঙ্গীর সৌজন্যে সনি ৪৮ ইঞ্চি এলইডি টিসিহ ১৫টি পুরস্কার।
বনভোজনের সার্বিক উপস্থাপনায় ছিলেন নওশেদ হোসেন সিদ্দিক, মাসুম বেপারী ও আতাউর রহমান আতা। সর্বশেষে সংগঠনের সভাপতি রুহুল আমিন সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক নওশেদ হোসেন সিদ্দিক বনভোজনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান অতিথি, সংগঠনের উপদেষ্টা, বিচারক, আমন্ত্রিত অতিথি, বিশেষ অতিথি, স্বেচ্ছাসেবক, সংগঠন ও বনভোজন কমিটির সকল সদস্য, প্রবাসী মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুরবাসী পরিবারবর্গ, সকল পৃষ্ঠপোষক, আর্থিক সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ, বিশেষ করে বাংলাদেশ কার ও লিমোজিন এসোসিয়েশন-এর সকল সদস্যসহ বনভোজন সংশ্লিষ্ট সকলকে সুন্দর একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে উপভোগ করার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তারা উপস্থিত সকলকে সংগঠনের আগামী অনুষ্ঠানের আগাম আমন্ত্রণ জানান এবং সবাইকে সুস্থ ও সুন্দরভাবে ঘরে ফেরার আহবান জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।