মুন্সিগঞ্জ, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, আরাফাত রায়হান সাকিব (আমার বিক্রমপুর)
করোনা পরিস্থিতির কারণে এবছর মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার নিম্ন আয়ের নাগরিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পৌর মেয়র হাজ্বী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব।
এতে পৌরসভার অধীনে থাকা যেসব নাগরিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স (কর) ২৬০ টাকার মধ্যে তাদের কাছ থেকে এ বছর আর ট্যাক্স নিবে না মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা।
এ উদ্যোগের উপকারভোগী হতে চলেছে পৌরসভার প্রায় আড়াই হাজার অধিক পরিবার।
এ প্রসঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে মেয়র ফয়সাল বিপ্লব ‘আমার বিক্রমপুর’ কে জানান, ‘করোনার কারনে কর্মহীন হওয়ায় পৌরসভার বহু নাগরিকদের জীবনযাপন কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষদের দূভোর্গ সবচেয়ে বেশি। এই পরিস্থিতিতে এসব মানুষের ট্যাক্স দিতে কষ্ট হবে, মানবিক দিক থেকেও ট্যাক্স চাইতে আমরাও বিব্রতবোধ করছি।’
তিনি বলেন, ‘নিন্ম আয়ের নাগরিকদের দূর্ভোগ লাঘবে এই উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মানুষের যেকোন দূর্ভোগ লাঘবে পাশে আছি।’
মেয়র আরও বলেন, ‘২৬০টাকা নির্ধারণের কারন হলো যাদের বিল্ডিং রয়েছে বা অবস্থা সম্পূর্ন তারা ট্যাক্স দিতে পারবে, কিন্ত যারা দৈনন্দিন জীবিকার উপরে জীবনযাপন করে মূলত তাদের হোল্ডিং গুলো টিনের ঘরের। এসব নিম্ন আয়ের মানুষের কাছ থেকে ট্যাক্স নেওয়া হবে না। যতদিন তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন না ঘটছে তাদের কাছে পৌর কর চাওয়া হবে না।’
এদিকে পৌর মেয়রের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও জনসাধারণ।
মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শহীদ-ই-হাসান তুহিন বলেন, ‘এটি অত্যান্ত মহানুভবতার উদ্যোগ যে নিন্ম আয়ের মানুষের প্রতি পৌরসভার মেয়রের সুদৃষ্টি ও সুনজর রয়েছে । যাদের হোল্ডিং ট্যাক্স এতো কম তাদের জীবন যাত্রার মানের কথা চিন্তা করে এই ট্যাক্সটি মওকুফ হলো, এমনটি আর কোন পৌরসভা করেছে বলে আমার জানা নেই। এজন্য মেয়রকে ধন্যবাদ।’
নাগরিক সমন্বয় পরিষদ মুন্সিগঞ্জের সদস্য সচিব সাত্তার মুন্সী বলেন, ‘পৌর মেয়রের এই উদ্যোগটি নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকার বয়ে আনবে। বিশেষ করে পৌরসভার ৬, ৭, ৮নং ওয়ার্ডের অনেক বেশি নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছে। করোনার কারনে তাদের উপার্জন বন্ধ। এমন মহৎ উদ্যোগের জন্য আমি ব্যাক্তিগতভাবে মেয়র মহোদয়কে ধন্যবাদ জানাই।’
উল্লেখ্য, এর আগেও করোনা পরিস্থিতিতে দোকান বন্ধ থাকায় পৌরসভার দোকান সমূহের ব্যবসায়ীদের এক মাসের ভাড়া মওকুফ করে ছিলেন পৌর মেয়র ফয়সাল বিপ্লব। এছাড়াও ব্যাক্তিগত উদ্যোগে ৫ধাপে পৌরসভার দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ, প্রতিটি মসজিদে জীবানুনাশক বুথ তৈরি সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি।