মুন্সিগঞ্জ, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের সীমানা সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জের চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ সুরভী-৭ এর ধাক্কায় একটি বালুবাহী বাল্কহেড (এম বি দারুল মাকাম) ডুবে গেছে।
গতকাল বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌঁনে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বাল্কহেডে থাকা ৬ জনের মধ্য ৫ জন সাতঁরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ রয়েছে মোতালেব (৫৫) নামের এক শ্রমিক। তার বাড়ি ভোলায়।
নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছিলো যাত্রীবাহী লঞ্চ সুরভী-৭। পথে রাত পৌঁনে ১১টার লঞ্চটি চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় পৌছালে চাঁদপুর থেকে ঢাকার ডেমরাগামী বালুবাহী বাল্কহেডকে ধাক্কা দেয়। এতে ৬ শ্রমিক সহ ডুবে যায় নৌযানটি। এদের মধ্যে সুকানি সবুজ (৩২), গ্রিজার মো, আক্তার (১৮), বাবুর্চি আব্দুল খালেক (৬৫) ও লস্কর ইমরান (২০) তীরে উঠতে সক্ষম হন। এ চারজন কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির হেফাজতে রয়েছেন। আর লস্কর মো. হৃদয় (১৮) লঞ্চে উঠে পালিয়েছে।
নিখোঁজ লস্কর মোহাম্মদ মোতালেব ভোলার ঢুলারহাটের নুরাবাদ গ্রামের রফিজুল হক মিজির পুত্র। ডুবে যাওয়া জাহাজের সুকানি সবুজ জানান, লস্কর মোতালেব জাহাজের ভেতরে আটকা পড়ে যায়। সে বের হতে পারেনি।
দূর্ঘটনা কবলিত লঞ্চটির সামনের অংশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটি পাড়ে নোঙর করা রয়েছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অন্য একটি লঞ্চ (কীর্তনখোলা ১০) এ করে সুরভী ৭ লঞ্চের যাত্রীদের নিয়ে রাতেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়।
নৌপুলিশ জানিয়েছে, ডুবে যাওয়া দারুল মাকাম-৩ জাহাজটির মালিক ডেমরার মোহাম্মদ সুমন। পুলিশ তার খোজঁ খবর করছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল নিখোঁজ শ্রমিককে উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানা গেছে।