বিপুল ভোটে টানা দ্বিতীয়বারের মত সংসদ নির্বাচিত হওয়া মৃণাল কান্তি দাসের মন্ত্রী হওয়ার খবর প্রকাশ করেছে জাতীয় দৈনিক কালের কন্ঠ। আর সেই খবরে মুন্সিগঞ্জে মৃণাল কান্তি দাসের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বয়ে যাচ্ছে উচ্ছাস।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রাচীন বাঙ্গালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার একান্ত সহকারী হিসেবে প্রায় ১৮ বৎসর কাজ করেছেন মৃণাল।
দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্য সমান সুযোগ করে দিয়ে মুন্সিগঞ্জে এক ‘সভ্য ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছেন মৃণাল কান্তি দাস’-এমনটা মনে করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক আল মাহমুদ বাবু। ‘এ কারনে ৩০ডিসেম্বরের নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জের মানুষ দল উপেক্ষা ব্যাক্তি ইমেজকে প্রাধান্য দিয়ে দলে দলে মৃণাল কান্তি দাসকে ভোট দিয়েছেন’- যোগ করেন বাবু।
মৃনাল কান্তি দাস ২০১০ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। মৃনাল ১৯৫৯ সালের ২৫ জানুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম স্যাম লাল দাস ও মাতার নাম গীতা রানী দাস। তিনি বিএ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
তিনি ৫ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
মৃণাল কান্তি দাস একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে ৩,১৩,৩৫৮ ভোট পেয়ে পাশ করেছেন। অন্যদিকে, তার প্রতীদ্বন্দী বিএনপির প্রার্থী যিনি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ৪ বারের সংসদ সদস্য তিনি পেয়েছেন মাত্র ১২,৭৩৬ ভোট। তার জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।