১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | ভোর ৫:১১
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মুুন্সীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার নিজ উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ‘মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর’
খবরটি শেয়ার করুন:

আবু হানিফ রানাঃ বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম একজন মুক্তিযোদ্ধা নিজস্ব উদ্যোগ ও এলাকাবাসীর আন্তরিক সহযোগিতা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে অমর করে রাখতে ঢাকার নিকটবর্তী মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার পদ্মা নদীর কোল ঘেঁষে মধ্যে কামারগাঁও গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের মক্তিযুদ্ধ যাদুঘর গড়ার এক অনন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের স্বপক্ষের সৈনিক কামার গাঁও গ্রামের বীর মক্তিযুদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম খোকন। তাহার একান্তচেষ্টা ও এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে এই মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘর।

মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম আমার বিক্রমপুর কে জানান, ‘এইদেশ এক সময় ছিল পাকিস্থানী শাসকদের হাতে, বাঙ্গালী জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা মুক্তযোদ্ধারা লাল সবুজের পতাকা ছিনিয়ে এনেছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে একটি সোনার বাংলা ও স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। আর এই স্বাধীনতা সার্বভোমত্ব এর চেতনাকে যুগ-যুগান্তর ধরে রাখার জন্য আমি ২০ বৎসর ধরে সহ-যোদ্ধা ও এলাকাবাসিকে সঙে নিয়ে এই মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরটি গরে তুলতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরো জানান মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব এর এই ভবন করার জন্য ২০ লক্ষাধিক টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন এলাকাবাসি। যাদুঘরটি ঘুরে দেখা যায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চারণ স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ের বিভিন্ন ছবি দেয়ালে দেয়োলে দূর্লভ্য আলোক চিত্র অসংখ্য ছবি শুভা পাচ্ছে ।

টেলিভিশনে দেখানো হচ্ছে পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতার স্বচিত্র প্রতিবেদন। এসব দেখে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধুকে চিনবে-জানবে এমন মনোবাসনা থেকেই মুক্তিযুদ্ধা নুরুল ইসলাম খোকনের মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর ঘরে তোলার প্রয়াস ।

প্রতিদিন বিকাল হলেই মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে আগত দর্শনার্থীদের ঢল নামে। এখানে তুলে ধরা হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস।

যদি সরকারী পর্যায়ে প্রতি জেলায় জেলায় মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে নতুন প্রজন্মকে জানানো যেত এমনটি আশা করেন মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরূল ইসলাম খোকন।

error: দুঃখিত!