১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | সন্ধ্যা ৭:৪১
মুন্সীগঞ্জে আওয়ামীলীগ, টিকিয়ে রেখেছে অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোই
খবরটি শেয়ার করুন:

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিএনপি’র ঘাটি হিসেবে পরিচিত মুন্সীগঞ্জ জেলা’য় আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক কর্মকান্ড অন্যান্য জেলার তূলনায় বেশ জোড়ালো। সংগঠনটির যে কোন ছোট-মাঝারী বা বড় কর্মসূচি এলেই মাঠে দেখা যায় বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী। যা বিভিন্ন সময় বিএনপি’র নেতাদের চক্ষূশূল হয়ে দাড়ায়। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে মূল দল আওয়ামীলীগ কেই দেখা যায় না কোন কর্মসূচিতে মাঠে নামতে। তারা কখনো হঠাৎ করে কোন কর্মসূচি পালন করলেও তা পালন করা হয় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন এর সরকারী অফিস জেলা পরিষদ কার্যালয়ে। আর এ নিয়ে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ আছে দলের অন্যান্য সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনগুলির মধ্যে।

বিগত কয়েকদিনের কর্মসূচি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এই কর্মসূচি গুলোতে সবচেয়ে বেশি সরব ছিলো ছাত্রলীগ-তরুণলীগ-স্বেচ্ছাসেবকলীগ-কৃষকলীগ-শ্রমিকলীগ।

গত ২৮সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন হলেও এদিনও মাঠে ছিলোনা জেলা আওয়ামীলীগ। আর একারণে এই কর্মসূচি পালন করতে হয়েছে সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনগুলির। এদিন শহরের সুপারমার্কেটে আলোচনা সভা ও পরে ৬৯পাউন্ডের কেক কেটে শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপন করেছে মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী তরুণলীগ।

অপরদিকে জেলা আওয়ামীগের কোন শীর্ষ নেতা না হলেও আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রথম সারির জেলা’র বেশ কয়েকটি সংগঠন অনুসরণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নেতা এ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস কে। ঠান্ডা ও পরিশীলিত মেজাজের হওয়ায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা মহিউদ্দিন এর চেয়ে বেশি পছন্দ করেন মৃণাল কান্তি কে। তাদের মধ্যে কথিত আছে-‘মৃণাল কান্তি সমস্যার সমাধান দেন আর মহিউদ্দিন নতুন সমস্যার সৃষ্টি করেন।’

অন্যদিকে এখন যারা এ্যড. মৃণাল কান্তি দাসের অনুসারী হয়ে জেলায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত বিভিন্ন সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠন পরিচালনা করছেন তাদেরও রয়েছে রাজনীতিতে দীর্ঘদীনের অভিজ্ঞতা্। জেলা তরুনলীগের সভাপতি মিদুল দেওয়ান একসময় ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের তুখোর নেতা। রাজনীতির কারনে কারাবরণও করেছেন তিনি। জেলা আওয়ামীলীগের কোন কার্যালয় না থাকলেও কার্যালয় আছে তরুণলীগের।

জেলা তরুণলীগের সভাপতি মিদুল দেওয়ান আমার বিক্রমপুর  কে বলেন, আমার কাছ থেকে ব্যাক্তিগত সুবিধা আদায় করতে না পেরে আমাকে পদবঞ্চিত অথবা রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন অপচেষ্টা করেছে একটি মহল। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আজ তারা দলীয় পদবি ব্যাবহার করে আরাম-আয়েশ করছে আর আমরা মাঠে থেকে মানুষের ভালোবাসা নিতে পারছি। কজনেই বা মানুষের ভালোবাসা এত কাছ থেকে গ্রহন করতে পারে। অথচঁ আজকে এই অবস্থানে তাদের থাকার কথা ছিলো।

error: দুঃখিত!