মুন্সিগঞ্জ, ২৪ নভেম্বর ২০২৩, শিহাব আহমেদ (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ ২ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করার চিন্তা নেই আওয়ামী লীগের। শক্ত অবস্থানে থাকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলিকে টানা ষষ্ঠবারের মত এই আসনে মনোনয়ন দিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য। তবে কালই যানা যাবে আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে নেতাকর্মীদের।
২০০৮ সালের প্রতিদ্বন্দীতাপূর্ণ নির্বাচনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মিজানুর রহমান সিনহাকে হারিয়ে মুন্সিগঞ্জ ২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
২০১৪ এবং ২০১৮ সালেও শক্ত কোন প্রতীদ্বন্দী ছাড়াই আওয়ামী লীগের টিকিট পেয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হন এমিলি। টানা ৩ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় এলাকায় বাড়তি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছেন এমিলি। তাছাড়া বিএনপি বা নিজ দল থেকে শক্ত কোন প্রতিদ্বন্দীর মোকাবিলা করতে হয়নি এমিলিকে।
সবশেষ ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে এলাকায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ভালো অবস্থানে রয়েছেন বলে মনে হলেও শেষ পর্যন্ত এমিলিকেই বেছে নেয় আওয়ামী লীগ।
২০২০ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মাহবুবে আলম মারা গেলে অনেকটা নির্ভার হয়ে যান এমিলি। এলাকায় তার প্রতিদ্বন্দী একেবারেই শূণ্য হয়ে পড়ে।
বর্তমানেও নিজ দল, বিএনপি বা অনান্য দল থেকে শক্ত প্রতিদ্বন্দী নেই এমিলির।
এমিলি প্রথম ১৯৯৬ সালে সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন। ২০০১ সালে মুন্সিগঞ্জ ২ আসন থেকে এমিলিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত করলেও বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান সিনহার বিরুদ্ধে নির্বাচন করে হেরে যান তিনি।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মত আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান সিনহার সাথে ৭০.৩৯% শতাংশ বেশি ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি।
২০০৮ সালে মোট ভোটের ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান সিনহাকে হারিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এমিলি। ২০১৪ সালে বিএনপি ভোট বর্জন করলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন আহমেদকে হারিয়ে প্রায় ৯৪ শতাংশ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি।
১৯৯১, ১৯৯৬ ফেব্রুয়ারি (ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন), ১৯৯৬ জুন (সপ্তম) জাতীয় সংসদ নির্বাচন) ও ২০০১ সালে আসনটি বিএনপির দখলে ছিলো।