মুন্সিগঞ্জ, ৫ জানুয়ারি ২০২৪, শিহাব আহমেদ (আমার বিক্রমপুর)
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ রোববার। মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের ১৭০টি ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা।
জেলার শ্রীনগর ও সিরাজদিখান উপজেলা নিয়ে গঠিত মুন্সিগঞ্জ-১ আসন। এই আসন থেকে এবার সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন ৯ জন। তবে শেষ মুহুর্তে ভোটের মাঠে লড়াইয়ে প্রথমদিকে রয়েছেন নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ, কুলা প্রতীকের বিকল্পধারার প্রার্থী মাহি বি চৌধুরী ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবির।
তবে, নানা কারনে আসনটিতে বিজয়ের পথে এগিয়ে রয়েছেন নৌকার প্রার্থী।
বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আসনটির দুই উপজেলায় ভোটার প্রায় সমান সমান। শ্রীনগরে ভোটার ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫৮ জন ও সিরাজদিখানে ২ লাখ ৫৫ হাজার ২১২ জন। নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন যেহেতু সিরাজদিখান উপজেলার বাসিন্দা তাই এখানে ভোট বেশি পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৫২ বছর পর সিরাজদিখান উপজেলা থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন কেউ। তাই এই উপজেলার ভোটারদের মধ্যে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, শ্রীনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানসহ আরও কয়েকজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষে অবস্থান নেয়ায় সেখানেও সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন নৌকার প্রার্থী। এছাড়াও সিরাজদিখানে পরপর ৩ বারের উপজেলা চেয়ারম্যান ও মালখানগর ইউনিয়নের টানা পাঁচবারের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন। সিরাজদিখানে তার জনপ্রিয়তার ধারেকাছেও অন্য প্রার্থীরা নেই। সবকিছু মিলিয়ে ভোটের হিসাবে মহিউদ্দিন আহমেদেই আসনটিতে জয়ের পথে এগিয়ে রয়েছেন।
অপরদিকে, কুলা প্রতীকের বিকল্পধারার প্রার্থী মাহি বি চৌধুরী আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য। তার সাথে প্রকাশ্য বা গোপনে বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানও রয়েছেন। এই আসনে তাদের পারিবারিক ভোট রয়েছে। তাছাড়া বিএনপির ভোটারও টানবেন মাহি। সেই হিসাবে এই আসনে দ্বিতীয় অবস্থানে কে থাকবেন তা নিয়ে মাহির প্রতিদ্বন্দীতা হবে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবিরের সাথে।
কবির এই আসনে একেবারেই নতুন মুখ নন। তিনি সাবেক ছাত্রনেতা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। গেল একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি এই আসনটি থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। দলীয় মনোনয়নও চেয়েছিলেন কিন্তু আওয়ামী লীগ এখানে জোটের প্রার্থী দেওয়ায় পরে আর প্রার্থী হননি কবির। কিন্তু এবারের নির্বাচনে দল সকলের জন্য প্রার্থীতা উন্মুক্ত করে দেয়ায় সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চান গোলাম সারোয়ার কবির।