১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | রাত ৪:০৪
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মুন্সিগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙন, পরিদর্শনে মৃণাল কান্তি দাস
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৭ আগষ্ট, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

ধলেশ্বরী নদীতেও পানি বৃদ্ধিতে স্রোতের তীব্রতায় গতকাল বৃহস্পতিবার মুন্সিগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের মালিরপাথর এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মুক্তারপুর সেতু সংলগ্ন এলাকায় ভেঙে যাওয়া স্থানে বাঁশের কঞ্চি ও বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভাঙনে বাঁধের বিশাল এলাকায় ধলেশ্বরীতে বিলীন হয়ে গেছে। 

খবর পেয়ে শুক্রবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস ভাঙ্গন কবলিত শহর রক্ষা বাঁধের মালিরপাথর এলাকা পরিদর্শন করেন ও বাঁধ রক্ষায় প্রাথমিক উদ্যোগ নিতে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে নগদ ১ লক্ষ টাকা প্রদান করেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, ব্লক সেটিং খুলে গেলেও সংস্কার না করায় চলতি বর্ষা মৌসুমে শহর রক্ষা বাঁধের মুক্তারপুর অংশে বড় ধরণের ফাটল দেখা দেয়। আর ধলেশ্বরীতে পানি বৃদ্ধিতে ভেঙে থাকা স্থান দিয়ে পানি প্রবেশে মারাত্বক ঝুঁকিতে থাকা বাঁধটি বৃহস্পতিবার ভাঙনের কবলে পড়ে।

খোঁজ নিয়ে গেছে, নদী ভাঙন থেকে রক্ষায় নির্মিত শহর রক্ষা বাঁধটি দীর্ঘ বছর ধরে সংস্কার না করায় শহরের হাটলক্ষীগঞ্জ, নয়াগাঁও, মিরেশ্বর, বাগবাড়ী, মুক্তারপুর সেতু এলাকা, মালিরপাথর ও বিনোদপুর পর্যন্ত একাধিক স্থানে ফাটল সৃষ্টি, বাধেঁর ব্লক সেটিং নষ্ট এবং গত বছর মালিরপাথর এলাকায় দু’দফা ভাঙনে মারাত্বক হুমকির মুখে পড়ে বাঁধটি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে বাধেঁর বিভিন্ন স্থানে ফাটল, স্লাব ও ব্লক সেটিং খুলে খানাখন্দকের সৃষ্টি হওয়া এবং বাধেঁর লিকেজ দিয়ে পানি ঢুকে বাধঁটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠে। এছাড়া বাঁধের একাধিক স্থানে বালুদস্যুরা আনলোড ড্রেজারের পাইপ স্থাপন করে জমি ভরাট ও বালুর স্তুপ তৈরি করায় বাঁধটিকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে মালিরপাথর এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধে আকস্মিক ভাঙ্গনে ব্লকসহ বাধেঁর বিরাট অংশ ধলেশ্বরী নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ওই সময় কোন রকমে মেরামত করলেও স্থায়ী কোন ব্যবস্থা নেয়নি মুন্সিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে মালিরপাথর, মুক্তারপুরের বাগবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকাসহ একাধিক স্থানে বাধেঁ ফাটলসহ দীর্ঘ বছর ধরে সেটিং বিনষ্ট হয়ে বাধেঁর ব্লকগুলো এলোমেলো পড়ে আছে। কোথাও খুলে যাওয়া ব্লকও নেই।

অন্যদিকে গত বছরের ২৬ জুলাই মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটের অদূরে হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকার লোকজন বাঁধ কেটে নালা তৈরি করায় আকস্মিক ভাঙন দেখা দেয়। 

শহরবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ফাটল সৃষ্টিসহ খুলে গেছে বাধেঁর ব্লকগুলো। এ অবস্থায় নদী তীরবর্তী এলাকাবাসীর মধ্যে ভাঙনের আশঙ্কা দিয়েছে। ফলে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে তীরবর্তী হাজার হাজার পরিবার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড মুন্সিগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী টি এম রাশিদুল কবীর জানান, করোনা ভাইরাসের কারনে শহর রক্ষা বাঁধটি সংস্কার কাজ পিছিয়ে যায়। বর্তমানে প্রায় ৯ হাজার ব্লক তৈরি করা হয়েছে। ধলেশ্বরীর পানি কমলে সংস্কারের কাজ শুরু করবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।

error: দুঃখিত!