মুন্সিগঞ্জ, ৩০ জানুয়ারি, ২০২১, প্রধান প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে সহজ জয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লব।
২৫ কেন্দ্রে তিনি যা ভোট পেয়েছেন তা তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী বিএনপি মনোনীত শহিদুল ইসলাম এর চেয়ে ১০ গুণ বেশি।
তৃতীয় দফায় দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে দীর্ঘদিন পর সুষ্ঠ ভোট দেখলো মুন্সিগঞ্জ পৌরবাসী। এই নির্বাচনে সকাল থেকেই ভোটারের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
পুরো নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ না থাকলেও টান-টান উত্তেজনা ছিলো কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে। দিনভর দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোথাও বড় ধরনের কোন সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
দুপুর ১২ টা’র দিকে মাঠপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ‘নৌকা’ প্রতীকে জোর করে সিল মারার সময় নিবৃত্ত না করতে পারায় ঐ কেন্দ্রের সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার মজিবর রহমানকে প্রত্যাহার করা।
দুপুরে ৩ নং ওয়ার্ডের ইদ্রাকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে ২০ মিনিট বন্ধ থাকার পর পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এসময় একজন পুরুষ ও অপরজন নারী আহত হন।
দুপুর ২ টা’র দিকে ৫ নং ওয়ার্ডের বৈখর অনির্বাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের এজেন্ট সাঈদ (৩২) জোর করে সিল মারার চেষ্টা করলে তাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়।
মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ২৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১৫০ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, ৩০০ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেন।
২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে আটটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৩ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য এবং ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৫ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন। তাছাড়া নয়টি মোবাইল টিম, নয়জনের সমন্বয়ে তিনটি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ডিবির দুইটি মোবাইল টিম ছাড়াও ২০ পুলিশ সদস্যের স্ট্যান্ডবাই টিম। এছাড়া, ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পাঁচটি বিজিবি টিম ও তিনটি র্যাব টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করেছে।
এ নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ছিলো ৫ জন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ৪০ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ৯ জন। ভোটার সংখ্যা ৫৩ হাজার ৩৭৪ জন।