মুন্সিগঞ্জে ১৮ দিনের শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে ধর্ষণ মামলা করেছেন দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। জেলার নারী ও শিশু আদালতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ৪ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন ওই স্কুলছাত্রী।
নারী ও শিশু বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক খন্দকার হাসান মোহাম্মদ ফিরোজ মামলাটি আমলে নিয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার জন্য আদেশ দিয়েছেন বলে জানান ওই কোর্টের পেশকার শহিদুল ইসলাম।
এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার নৈরপুকুর পাড় গ্রামের আ. হাই শেখের ছেলে জহিরুল ইসলাম গত ১ বছর ধরে তার প্রতিবেশী ওই স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত করে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
এতে ওই স্কুলছাত্রী রাজি না হওয়ায় গত বছরের ৪ জুলাই দুপুরে মেয়েটির বসতঘরে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে জহিরুল। এ সময় ওই ছাত্রীর বাবা বাড়িতে ছিলেন না। এরপর ধর্ষক জহিরুল তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী নাসরিন সুলতানার সহায়তায় ওই স্কুলছাত্রীকে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করে। এতে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
পরে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি জহিরুলকে এ খবর জানালে সে ওই ছাত্রীকে ঘরে তুলে নেয়ার আশ্বাস দেয় ও তার পরিবারকে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়মিত মেলামেশা শুরু করে।
একপর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রীর কোলে গত ১৬ এপ্রিল একটি পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। পরে মেয়েটির অভিভাবকরা তাকে ঘরে তুলে নিতে জহিরুলকে চাপ দেয়। কিন্তু জহিরুল ওই স্কুলছাত্রী ও তার সন্তানকে ঘরে তুলে না নিয়ে শিশুটিকে হত্যার চেষ্টা করে জহিরুলসহ তার সঙ্গীরা। পরে বাধ্য হয়ে মুন্সিগঞ্জ আদালতের দ্বারস্থ হন ওই স্কুলছাত্রী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আলমগীর হোসাইন জানান, ওই স্কুলছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুপক্ষকে থানায় ডেকে আনি। এ সময় ছেলে পক্ষকে মেয়েটিকে তাদের ঘরে তুলে নেয়ার কথা বললে তারা রাজি হয়। কিন্তু পরে আর ঘরে তুলে নেয়নি তারা। এখন আদালতের নির্দেশে মামলা নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।