১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | রাত ১০:১০
মুন্সিগঞ্জে ১৪ বছরের কিশোরীকে বিয়ে পড়ালেন কাজী
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৫ নভেম্বর, ২০২২, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই ১৪ বছরের কিশোরীকে বিয়ে পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে এক কাজীর বিরুদ্ধে। অভিভাবকের উপস্থিত ছাড়াই বিয়ে সম্পন্ন করেন মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার বেতকা ইউনিয়নের কাজী ইলিয়াস।

জানা গেছে, গেল ১৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার বেতকা ইউনিয়নের স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রীর বিয়ে পড়ান কাজী ইলিয়াস। একই গ্রামের তাবু মাদবরের ছেলে প্রবাসী সিয়াম মাদবর এর সাথে এই বিয়ে পড়ান তিনি।

কিশোরীর পিতা জানান, আমার মেয়ে ২০০৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী জন্মগ্রহণ করে। আমার মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়া সত্বেও বেতকা ইউনয়নের কজী ইলিয়াস তাকে বিয়ে পড়ান।

ঐ কিশোরীর স্বজন শামীম বলেন, অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী ইলিয়াস বলেন, ছেলে ও মেয়ের গার্জিয়ান নিয়ে আইসেন। এখন তালাক দেওয়া যাবে। এছাড়া কিছু করার নাই।

পরে আমি কাজী সমিতির সভাপতি বিল্লাল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিদেশে ছেলে থাকলে দুই পক্ষের ২ জন উকিল এবং ২ উকিলের ৪ জন স্বাক্ষী নিয়োগ করে টেলিফোনে বিয়ে পড়ানো যায়। কিন্তু এই কাবিনটিতে মাত্র একজন ওকিল নিযুক্ত করে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে যা বিবাহ আইন অনুযায়ী বৈধ নয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছেলে বিদেশ থাকলেও কাজী ছেলে পক্ষের কোন উকিল নিযুক্ত করেননি। নিয়ম অনুযায়ী ছেলে পক্ষে ২ জন স্বাক্ষী দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ১১ বছরের এক কিশোরীকে স্বাক্ষী মনোনিত করে সম্পূর্ণ আইন বহিভূর্তভাবে বিয়ে পড়ানো হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ কাজী সমিতির আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী আহাদ বলেন, ছেলে বিদেশে থাকলে অবশ্যই ছেলেকে সনাক্ত করার জন্য ছেলের রক্তের সম্পর্ক আছে এমন কাউকে ছেলে পক্ষে উকিল নিযুক্ত করতে হবে। এবং কাবিননামায় তার স্বাক্ষর নিতে হবে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাজী ইলিয়াস বলেন, মেয়ের বিয়ের সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আশায় আমি বিয়ে পড়াইছি। তবে মেয়ে পক্ষের লোকজন কম থাকায় সে সময় সকল সাক্ষী নিতে পারি নাই। পরে এসে সাক্ষী দিয়ে যাবে বলেছে।

অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীকে বিয়ে পড়ানো ঠিক হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসলে সকল কাজীরাই বিয়ে পড়ায়।

error: দুঃখিত!