মুন্সিগঞ্জে দুই শিশু ও এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলা ও শ্রীনগর উপজেলার পৃথক স্থান থেকে এই তিনজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তিরা হলো সদর উপজেলার মালিপাথর এলাকার মুক্তা (১০), শ্রীনগর উপজেলার আধারা এলাকার মাদ্রাসাছাত্রী নাহিদা আক্তার (১৪) ও উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের তিনগাঁও গ্রামের গৃহবধূ মিতু মণ্ডল। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত মুক্তার স্বজনরা জানিয়েছে, দোকান থেকে চুরি করে চকলেট খাওয়ার অভিযোগে বকুনি দেওয়ায় অভিমান করে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে সে।
নাহিদার স্বজনরা জানিয়েছে, সে মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন ছিল।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুচ আলী জানান, গতকাল সন্ধ্যায় খবর পেয়ে সদরের মালিপাথর এলাকায় পুলিশ গিয়ে শিশু মুক্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় তার মামা মিজানুর রহমানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে আত্মহত্যা করেছে। অন্যদিকে মাদ্রাসা ছাত্রী নাহিদা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হওয়ায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে তার বড় বোন মঞ্জু বেগম।
ওসি বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ নিশ্চিত যে এই দুটি ঘটনা আত্মহত্যার।
শ্রীনগর থানার ওসি সাহিদুর রহমান জানান, গতকাল মিতু মণ্ডলের স্বজনরা তাঁর লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে যায়। সেখান থেকে তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানানো যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবে কী কারণে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই ঘটনায় আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিতুর স্বামী তপন বিষাক্ত কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এখন তিনি শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।