৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | দুপুর ১:৩৭
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মুন্সিগঞ্জে হ.ত্যা মামলা: নাম নেই জড়িত অনেকের
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২১ আগস্ট ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

গেল ৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া শহরের উত্তর ইসলামপুরের বাসিন্দা রিয়াজুল ফরাজীকে (৩৮) গুলি করে হত্যার দায়ে ১৬ দিন পর ২০ আগস্ট মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লবকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

ওই মামলায় ৭ জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০৮ জনের নাম রয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২০০/৩০০ জনকে।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঘটনার দিন সহিংসতা-হামলায় জড়িত ছিলেন অথচ এমন অনেক ব্যক্তির নাম এজাহারে আসেনি। আবার ঘটনাস্থলেই ছিলেন না এমন অনেকের নাম রয়েছে এজাহারটিতে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে ওইদিন মুন্সিগঞ্জে ৩ জন নিহতের ঘটনায় আরও একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রথম মামলায় যাদের নাম আসেনি পরবর্তী মামলায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মামলায় নিরপরাধ কেউ থাকলে তাদের নাম বাদ দেয়া হবে। আর জড়িত যাদের নাম বাদ গেছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার আগে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

ওসি বলেন, ‘ওই মামলায় নাজমুল হাসান সোহেল ছাড়া নতুন কেউ গ্রেপ্তার হয়নি, এছাড়া কোন অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি৷

প্রসঙ্গত; গত ৪ আগস্ট শহরের সুপারমার্কেটে এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে জেলা সদরের চরাঞ্চল থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, তার পুত্র সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব ও তার স্ত্রী মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র চৌধুরী ফাহরিয়া আফরিনের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার জন্য অস্ত্র-ককটেল নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন ২-৩ হাজার দলীয় নেতাকর্মী ও অনুসারী। আগেরদিনই তারা মোবাইল ফোন ও সাক্ষাৎয়ে এই নির্দেশ পান।

ওইদিনের ঘটনায় ৩ জন নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়। এছাড়া অন্তত ৯৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন দেড় শতাধিক। এ ঘটনায় ২০ আগস্ট মধ্যরাতে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লবকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে। তবে এ মামলায় নাম নেই তার বাবা মহিউদ্দিন, চাচা আনিস উজ্জামান ও স্ত্রী চৌধুরী ফাহরিয়া আফরিনের।

আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতরা হলেন- রিয়াজুল ফরাজী (৩৫), মো. সজল (৩০) ও ডিপজল (১৯)। নিহতদের মধ্যে রিয়াজুল মৃত কাজী মতিনের ছেলে, সজল আলী আকবরের ছেলে ও ডিপজল সিরাজ সরদারের ছেলে। এরা সকলেই শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা।

এই বিভাগের সর্বশেষ
ফেইসবুকে আমরা
ইউটিউবে আমরা
error: দুঃখিত!