মুন্সিগঞ্জ, ১৯ আগস্ট ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গিয়ে গুলি-হামলায় ৩ জন নিহতের ঘটনায় জড়িত আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় হুশিয়ারি দিয়ে তারা বলেছে, ঘটনায় জড়িত কেউ মামলা থেকে বাদ গেলে পুনরায় আন্দোলনে নামবে শিক্ষার্থীরা।
জেলা শহরের কাচারি এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, সরকারি হরগঙ্গা কলেজ ও শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৪ ঘন্টাব্যাপী এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ আড়াই হাজার মানুষ স্বাক্ষর করেছেন।
আয়োজক শিক্ষার্থীদের দাবি- ৪ তারিখ সুপারমার্কেট এলাকায় হত্যাকাণ্ডের হুকুমদাতা ও জড়িতরা কেউ যেন মামলা থেকে রেহাই না পায়। জড়িত কেউ বাদ গেলে শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলন গড়ে তুলবে।
তারা বলেন, ‘ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে কোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে যেন মামলায় না জড়ানো হয় সেটিও খেয়াল রাখতে হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট সকালে জেলা সদরের চরাঞ্চল থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, তার পুত্র সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব ও তার স্ত্রী মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র চৌধুরী ফাহরিয়া আফরিনের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার জন্য অস্ত্র-ককটেল নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন ২-৩ হাজার দলীয় নেতাকর্মী ও অনুসারী। আগেরদিনই তারা মোবাইল ফোন ও সাক্ষাৎয়ে এই নির্দেশ পান।
ওইদিনের ঘটনায় ৩ জন নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়। এছাড়া অন্তত ২৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন দেড় শতাধিক।
আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতরা হলেন- রিয়াজুল ফরাজী (৩৫), মো. সজল (৩০) ও ডিপজল (১৯)। নিহতদের মধ্যে রিয়াজুল মৃত কাজী মতিনের ছেলে, সজল আলী আকবরের ছেলে ও ডিপজল সিরাজ সরদারের ছেলে। এরা সকলেই শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা।