মুন্সিগঞ্জ, ২১ আগস্ট, ২০২১, শ্রীনগর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় শ্রীনগর কোল্ড ষ্টোরেজ লিঃ নামক একটি হিমাগারে রাখা আলু পচে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার আটপাড়ায় অবস্থিত ওই হিমাগারে এ নিয়ে স্থানীয় কৃষক ও বেপারীদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
জানা যায়, শ্রীনগর-মুন্সিগঞ্জ সড়কের আটপাড়ায় ইউনুছ গ্রুপের আওতাধীন হিমাগারটির ধারণ ক্ষমতা প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার আলুর বস্তা। এসব আলু রাখার জন্য রয়েছে হিমাগারে ৩টি চেম্বার। টেকনিক্যাল কারণে হিমাগারে আলুতে পচন ধরেছে এমনটাই অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা।
কারণ হিসেবে তারা অভিযোগ করেন, পূর্বের একজন সহকারীকে হিমাগারের ফোরম্যানের দায়িত্ব দেওয়ার কারণেই হিমাগারে চেম্বারের তাপমাত্রা সঠিক নিয়মে হয়নি। একদিকে আলুর ন্যায্য মূল্য না পাওয়া অপরদিকে হিমাগারে আলুর পচন ধরা নিয়ে স্থানীয় কৃষক এখন দিশেহারা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, হিমাগারের চেম্বার থেকে আসা প্রায় বস্তাতেই অসংখ্য পচা আলু লক্ষ্য করা গেছে। বস্তার আলু হিমাগারের শেডে ঢেলে এসব আলু শোডিং (বাছাই) করা হচ্ছে।
এসময় আটপাড়া এলাকার আজিবর নামে এক কৃষক অভিযোগ করেন, তার ৫০ কেজি ওজনের ২২২ বস্তা আলুর মধ্যে ১৯ বস্তা আলুই পচা।
জয়নাল দেওয়ান, সিরাজ বেপারী, কাইউম বেপারী, রিপন বেপারীসহ অনেকেই জানায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর এখানকার হিমাগারে রাখা আলুর পচন অনেকাংশেই বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বস্তায় আলুর পচন ধরাসহ বেশীরভাগ আলু সোট্টা হয়ে গেছে। হিমাগারে তাদের হাজার হাজার বস্তা আলু রাখা আছে। এ অবস্থায় হিমাগারে রাখা আলু নিয়ে এখন তারা দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন। সবমিলিয়ে এখনও হিমাগারে প্রায় ১ লাখ বস্তা আলু রয়েছে।
তারা বলেন, এ বিষয়ে হিমাগারের ম্যানেজারের কাছে তারা অভিযোগ করেছেন। এ সময় বিল্লাল নামে এক বেপারী বলেন, তিনি আজ প্রতি কেজি আলু ১২ টাকা দরে প্রায় ২০০ বস্তা আলু ক্রয় করছেন। বস্তা খুলতেই সোট্টা আলুর পরিমান বেশী পাওয়া যাচ্ছে। আলু শোডিং করার পরে তিনি এসব আলু সিলেটে পাঠাবেন।
শ্রীনগর কোল্ড ষ্টোরেজ লিমিটেডের ম্যানেজার শিশির আহম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, হিমাগারের টেকনিক্যাল কারণে এসব আলুর সমস্যা হচ্ছে এটা শতভাগ সত্য নয়। অনেক সময় অপরিপক্ক আলুর ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে। সহকারীকে পদোন্নতি দিয়ে বর্তমান ফোরম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন হিমাগার কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরো বলেন, তার পরেও যেহুতু একটি অভিযোগ উঠেছে এ বিষয়ে আমি হেড অফিসকে অবহিত করেছি। হিমাগার কর্তৃপক্ষও বিষয়টি দেখবেন বলে আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন।