মুন্সিগঞ্জ, ৭ জুলাই ২০২৩, নিজস্ব প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ছাত্রলীগ নেতা কতৃক কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে মামলার পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
হাসপাতালের ভেতরে কিভাবে ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটলো তা জানতে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে। আগামী ৫ কার্যদিবসের তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মঞ্জুরুল আলম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এরই মধ্যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল (শনিবার) থেকে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করবে। তদন্ত কমিটির প্রধান হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল হোসেন প্রধান। এছাড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. গায়েত্রী বিশ্বাস সদস্য সচিবসহ আরও তিন কর্মকর্তা রয়েছেন কমিটিতে।
তদন্ত কমিটি প্রথমত দেখবে ঘটনাটি ঘটেছে কিনা। ঘটে থাকলে সেটি কিভাবে ঘটেছে। এ ঘটনায় হাসপাতালে দায়িত্বরত কারও অবহেলা আছে কিনা, একইসঙ্গে ঘটনার পরে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর এ নিয়ে কোনো সহযোগিতা ছিল কিনা।
তিনি আরও বলেন, থানায় মামলা করেছেন ওই কিশোরীর মা। তদন্ত কমিটির কাজ শেষে আমরা যদি কারো দায়িত্বে অবহেলার প্রামাণ পাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মামলার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও আসামি শাকিলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের সর্বাত্মক অভিযান চলমান রয়েছে। আজ ভুক্তভোগী কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করে বলা হয়, ভুক্তভোগী ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গেল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছাদে সিড়ি সংলগ্ন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগ নেতা শাকিল। ভুক্তভোগী তার মায়ের কাজের সূত্রে বিভিন্ন সময়ে জেনারেল হাসপাতালের আশপাশেই থাকতেন। ঘটনাক্রমে তার উপর চোখ পড়ে শাকিলের।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযুক্ত শেখ শাকিলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন। শাকিল সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের চরমশুরা এলাকার হাবিবুর রহমানের পুত্র। তারা শহরের দুধবাজার সংলগ্ন খালইষ্ট এলাকার আফতাব কমপ্লেক্সের ভাড়াটিয়া।