মুন্সিগঞ্জ, ১৭ মার্চ, ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে র্যাবের একটি টহল গাড়ি যানজটে আটকা পড়লে সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি মনে করে ১০ থেকে ১২ জনের একদল ডাকাত ডাকাতি করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু র্যাব সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পেরে ধাওয়া দিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ হাতেনাতে ডাকাত দলের ৮ সদস্যকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে সুজন (২০), চর বাউশিয়া বড়কান্দি গ্রামের নান্নু মিয়া ছেলে রাসেল (২৭), চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার মুক্তির কান্দি গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আলাউদ্দিন (১৯), পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দিঘা গ্রামের এনামুল হকের ছেলে বাদশা হোসেন দিপু (২৩), গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুন বসুরচর গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে সাব্বির (১৯), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাইটকারটেক গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান (১৯), কুমিল্লার হোমনা উপজেলার মৃত শাহাজানের ছেলে মিন্টু (২৩), ঢাকা আলুবাজার এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে সিয়াম (১৯)।
এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি রামদা, ৩টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি স্টিলের তৈরি চাপাতি, ১টি বড় ছোরা, ১টি হাতুরি ও ১টি শাবল উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-১১ এর স্কোয়াড্রন লিডার (উপ-পরিচালক) মনিরুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল কাঁচপুর থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত যায়। দাউদকান্দি থেকে ফেরার পথে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানাধীন চর বাউশিয়া এলাকায় পৌঁছালে র্যাব ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী অন্ধকারাছন্ন জায়গায় যানজটে পড়ে। এসময় সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি মনে করে ১০/১২ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতির উদ্দেশে সাদা পোশাকে থাকা র্যাব সদস্যদের গাড়িটিকে ঘেরাও করেন। তখন র্যাব সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে ধাওয়া করে ডাকাত দলের দল নেতাসহ আট সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক করেন। এসময় আরও কয়েকজন র্যাবরে হাত থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে অস্ত্রসহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, আটক ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্য। দলনেতা সুজন ও তার সহযোগিরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারের যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করে আসছিল। গত দুই বছরে তারা এই মহাসড়কে প্রায় ৫০টিরও অধিক ডাকাতি করেছে বলে স্বীকার করেছে।
গজারিয়া থানার ওসি মোল্লা সোহেব আলী জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আটককৃতদের থানায় হস্তান্তর করা হলে তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা দায়ের হয়েছে। আগামীকাল আদালতে প্রেরণ করা হবে।