মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার কাইচ মালধা ওয়াহেদ আলী হাওলাদার মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. কাওসার হামিদের বিরুদ্ধে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলাটির ভিটিমালধা গ্রামের দুই শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন-মাদ্রাসাটিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় কাওসার হামিদ তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন, শারীরিক শাস্তি, চুলে ধরে টানা হেঁচড়া, পিতা মাতার নাম ধরে বকাবাজি, অশালীন ও কু-রুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন।
কোন ছাত্রী প্রতিবাদ করলে তার নামে অপবাদ দিয়ে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকিও দিতেন ঐ শিক্ষক।
এমনকি সুপারের বাসা-বাড়ির বিভিন্ন রকম সাংসারিক কার্যাদি করাতেন শিক্ষার্থীদের দিয়ে। এছাড়া ওই ছাত্রীদের অভিযোগ উপবৃত্তির টাকা তাদের দ্বারা উত্তোলন করাতেন। পরে টাকার অর্ধেক টাকা দিতেন এবং বাকি টাকা নিজে নিয়ে নিতেন।
ছাত্রীরা আরও অভিযোগ করেন-আমাদের কমিটি কতৃক নির্ধারিত খাবারের স্থলে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করেছে। মাদ্রাসা সুপার ছাত্রীদেরকে অন্য প্রতারণামূলকভাবে অন্যমাদ্রার নামে রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়েছেন। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় কোন কারণ ছাড়ায় মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে কতিপয় ছাত্রীদের।
এই বিষয়ে ভূক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী লিখিতভাবে স্থানীয় প্রশাসনে অভিযোগ দাখিল করেছে। এই দুই শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের সাথে সাক্ষাত করে নির্মম ঘটনার বর্ণণা করেছে।
টঙ্গীবাড়ি থানার ওসি শাহ্ মো. আওলাদ হোসেন জানিয়েছেন, সোমবার অভিযোগটি পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার ইউনুস ফারুকী এ ব্যাপারে জানিয়েছে, ভূক্তভোগী দুই শিক্ষার্থীরা তার কাছে এসেছিলেন। নির্মম ঘটনার বর্ণণা করেছেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা বিভাগ থেকেও তদন্ত চলছে। এছাড়া এই মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে এর বাইরেও অভিযোগ রয়েছে যা তদন্তাধীন রয়েছে।
তবে মাদ্রাসার সুপার মো. কাওসার হামিদ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।