মুন্সিগঞ্জ, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জে ব্যাংকে টাকা উত্তোলন শেষে গুনতে গিয়ে অভিনব প্রতারণার শিকার হয়েছেন এক নারী গ্রাহক। এসময় চোখের পলকে তার ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে প্রতারক চক্র।
গতকাল রোববার সকাল ১১ টা’র মুন্সিগঞ্জ শহরের পুরাতন কাচারি এলাকায় উত্তরা ব্যাংক মুন্সিগঞ্জ শাখায় এই ঘটনা ঘটে। পরে এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ব্যাংক গ্রাহক।
ভুক্তভোগী মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চরডুমুরিয়ার রাজারচর এলাকার সাহেব আলী বেপারীর স্ত্রী পারভীন আক্তার জানান, গতকাল রোববার সকাল ১১ টা’র দিকে পৌরসভার কাচারিঘাট এলাকায় উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, মুন্সিগঞ্জ শাখায় টাকা উত্তোলন করতে যাই। এবং ব্যাংক হতে ৯০ হাজার টাকা তুলি।
টাকা উত্তোলন শেষে আমি ব্যাংকের সোফায় বসে টাকা গোনার সময় অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন ব্যক্তি সোফায় এসে আমার পাশে বসে। তাদের মধ্য থেকে ১ জন আমার হাতে থাকা পাঁচশত টাকার বান্ডিল দেখে বলে, আমি ব্যাংকে এক লক্ষ টাকা জমা দিব, আমার কাছে এক হাজার টাকার নোট আছে। আপনি এক হাজার টাকার নোটগুলো নেন এবং আমাকে পাঁচশত টাকার নোটগুলো দিয়ে দেন। আমি সরল বিশ্বাসে ঐ ব্যক্তির হাতে আমার পাঁচশত টাকার বান্ডিলের মোট ৯০ হাজার টাকা দেই এবং পরবর্তীতে সে আমাকে রাবারে বেধে হাত মুঠো করে এক হাজার টাকার কতগুলো নোট দেয়।
আমাকে টাকা দেওয়ার পর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার কথা বলে সোফা থেকে উঠে যায়। আমি টাকা গোনার জন্য টাকার রাবার খুলে নোট গুনে দেখি এতে এক হাজার টাকার ২০টি নোট ও একশত টাকার ৫০টি নোট সহ মোট ২৫ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকি ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে তারা মুহুর্তেই ব্যাংক থেকে চম্পট দিয়েছে।
পরে আমি বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানাই ও মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
উত্তরা ব্যাংক মুন্সিগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক হানিফুর রহমান বলেন, আমরা গ্রাহকের অভিযোগ পেয়ে তাদের সাথে নিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছি। এসময় আমরা ৩ ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করেছি। পুলিশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিলে আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।