মুন্সিগঞ্জ, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধীর চন্দ্র দত্তের বড় ভাই সত্যরঞ্জন দত্ত (৬৪) রহস্যজনক হত্যকান্ডের ঘটনায় আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন অগ্রগতি নেই। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও কিভাবে ব্যবসায়ী সত্যরঞ্জন খুন হয়েছেন সেই রহস্য উদঘাটন হয়নি।
শ্রীনগর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘আমার বিক্রমপুর’ কে জানান, এ ঘটনায় গতকাল রাতে দোকান কর্মচারি নুরুসহ জড়িত সন্দেহে আরও কয়েকজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। হত্যাকান্ডটি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।
নিহতের বড় ভাই অধীর চন্দ্র দত্ত জানান, আমার ভাইয়ের সাথে স্থানীয় কারও জমিজমা বা ব্যবসা সংক্রান্ত ন্যুনতম বিরোধ নেই। ৪০ বছর ধরে সে গোখাদ্য পণ্যের ব্যবসা করে আসছিলো।গতকালকের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিখা রাণী দে বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ অভিযোগের সূত্র ধরে কাজ করছে। মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল হোসেন সরকার বলেন, নিহতের শরীরে অন্তত ৬টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা নিশ্চিত যে এটি একটি হত্যাকান্ড। এই হত্যাকান্ডের রহস্য দ্রুত উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।
গতকাল বুধবার রাত ১০ টা’র দিকে উপজেলার পাটাভোগ ইউনিয়নের জশুরগাও এলাকায় খোজাখুজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে ব্যবসায়ী সত্যরঞ্জন দত্তের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখতে পায় স্বজন ও স্থানীয়রা। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
মৃত সত্যরঞ্জন দত্ত উপজেলার পাটাভোগ ইউনিয়নের জুশুরগাও এলাকার মৃত ননী গোপাল দত্তের ছেলে।
পরিবারের স্বজনরা জানান, প্রতিদিন রাত ৭-৮ টা’র পরপর দোকান বন্ধ করে তিনি বাসায় ফিরেন। তবে গতকাল নির্দিষ্ট সময় থেকে বেশি সময় পার হয়ে গেলেও তিনি বাসায় না ফেরায় স্বজনরা আশপাশে তাকে খুঁজতে বের হলে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে তার মরদেহ দেখতে পান। তার শরীরে একাধিক ধারালো ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিলো।