মুন্সিগঞ্জ, ১৬ আগস্ট, ২০২১, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জে বিএনপি নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেল মিয়া’র আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান মঞ্চে হিন্দি গানের তালে স্থানীয়দের নাচের ভিডিও করায় এক সাংবাদিককে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত সোহেল মিয়া মিরকাদিম পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও একই ওয়ার্ডের বিএনপির সহ সভাপতি। তবে তার দাবি, তিনি আরও ৭-৮ বৎসর আগে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মিরকাদিম পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমির হোসেন সেন্টু বলছেন, আমাদের ওয়ার্ড কমিটি এখনো চলমান। এই কমিটি থেকে সহ সভাপতি বর্তমান কাউন্সিলর সোহেল মিয়া কখনো পদত্যাগ করেনি। করলে সবার আগে আমি জানতাম। তার এই দাবি মিথ্যা। সে এখনো ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি।
মারধরের শিকার সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদ জানান, অভিযুক্তরা ১৪ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মিরকাদিম পৌরসভার কাগজীপাড়া আরাবিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার সামনে উচ্চশব্দে গান বাজাচ্ছিলেন । যা ক্যামেরাবন্দী করার সময় আমাকে হেনস্তা করেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ছেলে জাহিদ ও সানজিলের নেতৃত্বে একদল যুবক। এরপর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা সোহেল মিয়া সেখানে উপস্থিত হয়ে আমাকে একটি দোকানের ভিতরে ঢুকিয়ে মারধর করেন। একপর্যায়ে কাউন্সিলর আমার মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওটি ডিলেট করতে আমাকে বাধ্য করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মিরকাদিম পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোহেল মিয়া বলেন, ‘নাচানাচির ঘটনা সত্য, আমি সেসময় ছিলাম না। আমার অগোচরে হয়েছে। তবে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনাটি মিথ্যা। আমি আগে বিএনপি করতাম, পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। তারপরও আপনারা আসেন, আমি যদি ভুল করে থাকি সাংবাদিক সম্মেলন করে ক্ষমা চাইবো।’
মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বলেন, জাতীয় শোক দিবসে শোক পালন না করে বিপরীতধর্মী আয়োজনের খবর আমাদের চরমভাবে আহত করেছে। বিষয়টির খোঁজ নিয়ে যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন বলেছেন, ঘটনাটি সম্পর্কে লোকমুখে জানতে পেরেছি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।