সম্পর্কটা প্রেমের। পালিয়ে বিয়ের সাত মাস পর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় পারিবারিকভাবে। এরপর একদিন না যেতেই অঘটন। বাসর রাতেই লাশ হলেন কনে।
ঘটনাটি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ ইসলামপুর গ্রামের। আজ শনিবার ভোররাতে স্বামীর ঘরে ওই তরুণীর গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ পাওয়া যায়। সকালে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই তরুণীর নাম রিংকু আক্তার (১৯)। তাঁর স্বামী নাহিদ বেপারী (২২)। দুজনের বাড়িই দক্ষিণ ইসলামপুর গ্রামে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোরশেদ আহমেদ জানান, সাত মাস আগে দক্ষিণ ইসলামপুর গ্রামের আলাউদ্দিন শেখের মেয়ে রিংকুকে পালিয়ে বিয়ে করেন আমির হোসেন বেপারীর ছেলে নাহিদ বেপারী।
গতকাল শুক্রবার দুই পক্ষের আনুষ্ঠানিকতা হয়। এরপর রিংকু স্বামীর বাড়িতে উঠেন। গভীর রাত পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীর আলাপচারিতা হয়। শনিবার ভোররাত ৫টার দিকে রিংকু আকস্মিক আত্মহত্যা করেন। সকালে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এসআই আরো জানান, এই ঘটনায় রিংকুর বাবা আলাউদ্দিন শেখ বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।
রিংকুর বাবা আলাউদ্দিন শেখ জানান, মেয়েকে আনুষ্ঠানিকতা শেষে হাসিমুখে স্বামীর ঘরে পাঠানো হয়। কিন্তু কেন আত্মহত্যা করল, সেটা তিনি জানেন না।
আজ সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে রিংকুর স্বামী নাহিদকে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি আশপাশেই আছেন।
নাহিদের পরিবারের কয়েকজন দাবি করেন, রিংকু আত্মহত্যা করেছেন।