মুন্সিগঞ্জ, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, নিজস্ব প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় একটি কোম্পানির জায়গায় বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে ভবেরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৬জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে গোটা এলাকায়, মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
আহতরা হলেন, ফয়সাল (৩২), হোসেন (৩৬), খোকন (৪৬), লিমন (২৫), সামির (১৭),মশিউর (১৭)।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও হামলায় আহতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভবেরচর ইউনিয়নের আনারপুরা এলাকায় কনকর্ড গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রির ক্রয়কৃত ১২ বিঘা জায়গায় বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আলমের সমর্থকদের সাথে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহিদ মোহাম্মদ লিটন সমর্থকদের বিরোধ চলছিল। এর মধ্যে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার রেশ ধরে বুধবার ( ১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটার দিকে আনারপুরা এলাকার জেএমআই সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে সংঘর্ষে জড়ায় উভয় পক্ষ। এতে শাহ আলম গ্রুপের ফয়সাল, আমির হোসেন এবং খোকন আহত হয়। অন্যদিকে সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যান সাহিদ মোহাম্মদ লিটন সমর্থক লিমন, সামির ও মশিউর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় স্থানীয়রা।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাকিবুল হাসান বলেন, আহত ৬ জনকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে ফয়সাল, হোসেন এবং খোকনের আঘাত গুরুতর ছিল। ফয়সালের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং অন্য দুজনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি এবং অপর তিনজনের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আলমকে দায়ী করেছে ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহিদ মোহাম্মদ লিটন। অন্যদিকে বিনা উস্কানিতে চেয়ারম্যান সমর্থকরা তার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহ আলম।
সদর-গজারিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান জানান, খবর পাওয়ার পর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।