মুন্সিগঞ্জ, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২, সিরাজদিখান প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে ঠেকাতে থানায় হাজির হয়েছেন একই উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের মির্জাকান্দা গ্রামের শেফালী রাণী (৩৬) নামের এক গৃহবধূ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় স্বামী দীপক চন্দ্র কর (৪৬) এর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এই দম্পতি উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব রশুনিয়া এলাকার বাসিন্দা। তাদের ১৪ বছর বয়সী এক মেয়ে সস্তানও রয়েছে। জানা গেছে ১৭ বছর পূর্বে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের মির্জাকান্দা গ্রামের মৃত শান্তি মন্ডলের বড় মেয়ের সঙ্গে রশুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব রশুনিয়া গ্রামের নিকুঞ্জু করের ছোট ছেলে পুলিশ সদস্য এএসআই দীপক করের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে দিপক বিয়ে করবেন খবর পেয়ে প্রতিকার পেতে থানায় হাজির হন গৃহবধূ শেফালী রাণী ও তার নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে। থানায় অভিযোগ করার পরে শেফালী রাণী তার মেয়েকে নিয়ে দীপক করের বাড়িতে হাজির হন।
শেফালী রাণীর দাবি, বিয়ের পর দীপক তাকে নিয়ে ঢাকা ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। দীপক পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কাজ করে সংসার চালাতেন। স্বামী-সন্তান নিয়ে তিনি সুখেই ছিলেন। দীপক যখন এএসআই পদে পদোন্নতি পেয়ে চাকুরী করতে লাগলেন তখন দীপক মদ, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য খাওয়া শুরু করলেন। তার বিরুদ্ধে অনেক বিচার দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি।
শেফালী রাণী আরো বলেন, থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরে আমি আমার মেয়ে, ছোট বোন এবং বোনের জামাইকে নিয়ে আমার স্বামীর বাড়িতে বিয়ে আটকাতে গিয়ে দেখি তারা বাড়ি ছেড়ে সব কিছু ফেলে পালিয়েছে।
আমি পুলিশ সুপার ও স্বরাস্ট্র মন্ত্রীর সাহায্য কামনা করছি। পুলিশ সদস্য দীপক কর রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ওয়ার্কশপে কর্মরত।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য দীপক করের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বাড়িতে গিয়ে যোগাযোগ করলে দিপক করের মা জানায়, আমার ছেলে শেফালী রাণীকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে।
সিরাজদিখান থানার ওসি এ কেএম মিজানুল হক বলেন, দীপক করের বিরুদ্ধে শেফালী রাণীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রযোজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।