মুন্সিগঞ্জ, ৫ জানুয়ারি, ২০২১, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
দুই মেয়ে ও স্ত্রী সুমি আক্তারের ভরণপোষণ দিচ্ছেনা পুলিশ কনেস্টবল স্বামী। কুমিল্লায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মো. সেলিম খাঁন দীর্ঘ এক বছর যাবৎ স্ত্রী ও মেয়েদের ভরণ-পোষণতো দূরের কথা কোন খোঁজ খবরই নিচ্ছেনা।
এই ঘটনায় সুমি আক্তার বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু মামলা নং ২৮৩/২০ দায়ের করলে ওই মামলায় আদালত সেলিম খানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে।
এরপর হতে কর্মস্থলে গিয়েও স্ত্রী সুমি বেগম ওই পুলিশ কনেস্টবলের কোন সন্ধাণ পাচ্ছেনা না। কর্মস্থলের লোকজন বলেছে সেলিম ছুটিতে আছে বলে আজ সোমবার (৪ জানুয়ারী) মুঠোফোনে জানান সুমি আক্তার।
সেলিম খান সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চরডুমুড়িয়া গ্রামের খানঁ বাড়ির মৃত- আবু সাঈদ খানের ছেলে। সে বর্তমানে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম কঙ্কাবতী ফাঁড়িতে কর্মরত আছে। তার বিপি নং- ৮৪০৪০৬২২৯৬।
জানা যায়, ২০১১ সালে পারিবারিকভাবে সেলিম খানের সাথে পাশ্ববর্তী ছোট মোল্লাকান্দি গ্রামের রশিদ শিকদারের মেয়ে সুমি আক্তারের পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়।
সুমি আক্তার জানান, আমার ৯ বছর ও ২ বছর বয়সের দুটি মেয়ে রয়েছে। ২০১১ সাল বিয়ের পর থেকে সে আমার সাথে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। এই নির্যাতনের মধ্যে আমাদের দুটি কন্যা সন্তান বড় মেয়ে ফাতেমা ও ছোট মেয়ে মরিয়মের জন্ম হয়।
‘একদিকে ভরণ-পোষণতো আমাকে দিচ্ছেইনা অন্যদিক আমার শাশুড়ি সালমা বেগম গত অক্টোবর মাস থেকে বাথরুম তালা দিয়ে রেখেছে এবং এলপি গ্যাসের চুলা খুলে নিয়ে গেছে। আমি বাবার বাড়ি হতে টাকা এনে ২ মেয়েসহ অদাহারে অনাহারে বেঁচে আছি। গত ২০২০ সালের জুলাই থেকে নতুন করে সেলিম নতুন বাড়ি করার জন্য আমার কাছে যৌতুক হিসেবে টাকা চায়৷ সে টাকা না দেয়ায় আমার উপর চালায় পার্শবিক নির্যাতন।’
স্থানীয়রা জানান, সেলিম বাসায় আসলেই সুমিকে মারধর করতো। বিয়ের পর শুনি সেলিম সুমিকে সংসারে রাখবেন না। এর আগে অনেক বার এ ব্যাপারে সমাধানের চেষ্টা করেছে। এর আগে বাথরুম তালা দিয়ে বাচ্চাদের খাবার দেয়নি। সেলিমের মা তার চার ছেলে সরকারি চাকরি করে বিধায় কেউ প্রতিবাদ করলে হুমকি ধামকি দেয়।
এ ব্যপারে পুলিশ কনস্টেবল সেলিম খাঁন বলেন, গতবছর ২৫ জুন মাসে আমি সুমিকে তালাক দিয়ে দিয়েছি। সে আমার স্ত্রী না। তার দেনমোহরের টাকা এবং দুইসন্তানের ভরণ-পোষণ আইনগতভাবে যেটা হয় সেটা আমি দিবো।