মুন্সিগঞ্জ ২৪ নভেম্বর, ২০১৯, টংগিবাড়ী প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ীতে কন্যা ও জামাতাকে নিয়ে মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ এনেছে পিতার বিরুদ্ধে কন্যা।
জানা যায়, কণ্যা সাদিয়া আফরিন মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী থানায় হাজির হয়ে পিতা মো: শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমার পিতা বিভিন্ন সময় সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে শারীরিক নির্যাতন করত। তিনি ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব করে শয়ন কক্ষের পাশে বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে।’
অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি ১৮/০৩/২০১৯ তারিখে শাহীন সর্দারকে বিয়ে করি। গত ০৬/০৪/১৯ইং তারিখ সকালে আমাকে বাড়ী হইতে বাহির করিয়া দেয়। উক্ত ঘটনায় সাদিয়া টংগিবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ডিউটি অফিসার তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে।’
পরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সাদিয়া জানান গত ৬ তারিখে মুন্সিগঞ্জের স্থানীয় একটি পত্রিকায় আমার স্বামীর নামে জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতির সংবাদ প্রকাশ হয়।
‘আমার স্বামী প্রবাসে থাকায় আমি তাহার স্ত্রী সাদিয়া আফরিন এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’
‘আমি আমার বাবার অমতে বিয়ে করায় আমার স্বামীকে ফাঁসানোর জন্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করানো হয়েছে।’
‘আমি বর্তমানে আমার স্বামীর বাড়িতে আছি। আমার পিতার অত্যাচার হতে বাঁচার জন্য শান্তিতে থাকার জন্য আমার মতে আমি বিয়ে করেছি।’
‘সম্প্রতি মুন্সিগঞ্জের স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় টংগিবাড়ীতে জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতি শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে পিতা শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন- হজব্রত পালনে সৌদি আরবে অবস্থানকালীণ তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে ফুসলিয়ে নেয় শাহীন সর্দার।’
সেই সংবাদ সম্পর্কে সাদিয়া আক্তার বলেন- ‘আমাকে শাহীন সর্দার ফুসলিয়ে নেয়নি। আমার ভাই হেমায়েতুল ইসলাম হিমু’র সহযোগিতায় ঢাকা থেকে আমার জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করে শাহিন কে বিয়ে করি, যা কিনা শাহিন, শাহিনের পরিবার এবং সোনারং টংগিবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের কেউ জানেনা।’
এ ব্যাপারে মো: শহিদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমার মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক থাকায় তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাহার সম্পত্তির উপর নজর পরায় এ কাজ করেছে তাহার মেয়ের জামাতা ও পরিবারের লোকজন। তাহার প্রতি অন্যায় ও জালিয়াতির বিচার দাবি করেন তিনি।’