১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | সকাল ১১:৩৬
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মুন্সিগঞ্জে পানিতে ডুবে সহপাঠী দুই মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যু
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৮ আগস্ট ২০২৩, নিজস্ব প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে পুকুরে গোসলে নেমে দুই মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তারা দুজনে একই মাদ্রাসায় একই ক্লাসে পড়াশোনা করতেন।

উপজেলার কুমারভোগ ইউনিয়নের কুমারভোগ গ্রামে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে পুকুরে গোসল করতে নেমে দুই বান্ধবীর মৃত্যু হয়।

নিহত শিশু দুটির একজন একই গ্রামের শাহ আলম মৃধার কন্যা চাঁদনী (১০) ও অন্যজন জাহিদ শিকদারের কন্যা মরিয়ম (১১)। তারা দুজন মৌছা আমেনা হাকিম দাখিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মৌছা আমেনা হাকিম দাখিল মাদ্রাসায় যায় নিহত চাঁদনী ও মরিয়ম। ক্লাস শেষ করে বিকাল ৫টার দিকে মাদ্রাসা থেকে বাসায় ফিরে খাওয়া দাওয়া করে ৬টার দিকে বাড়ির পাশে থাকা একটি পুকুরে গোসলে নামে তারা। গোসল করতে গিয়ে বাসায় ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তাদের খোঁজে পুকুরে যায়। পরে চাঁদনীর লাশ পানিতে ভেসে থাকতে দেখা যায়। এরপর পুকুরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে মরিয়মের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি বাড়ির দুটি শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহত মরিয়মের মা সুমি জানান, বিকালে মাদ্রাসা থেকে আসার পরে ভাত খেয়ে বলে, সে গোসল করতে যাবে। আমি ভেবেছি বাড়িতে গোসলখানায় গোসল করবে। ছোট ছেলেকে টিউশন মাস্টারের কাছে প্রাইভেট পড়াতে নিয়ে যাই। এসে দেখি মরিয়ম নাই। এর প্রায় আধা ঘণ্টা পরে খোঁজাখুঁজি করে পুকুরে চাঁদনীর মরদেহ ভেসে আছে দেখতে পাই। এর আগে চাঁদনী আমাদের বাসায় এসেছিল, তাই ধারণা করলাম আমার মেয়েও গোসল করতে এসেছে। এরপর পুকুর থেকে আমার মেয়ের লাশও উদ্ধার করি।

মৌছা আমেনা হাকিম দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. মোস্তফা কামাল জানান, আমাদের মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী চাঁদনী ও মরিয়ম অনেক মেধাবী ছিল। আমরা শোকাহত।

পদ্মা সেতু উত্তর থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন জানান, শিশু দুইটি মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে। তিনি আরও জানান, এখনও এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

error: দুঃখিত!