মুন্সিগঞ্জ, ১০ অক্টোবর ২০২৩, আমার বিক্রমপুর ডেস্ক
অবশেষে বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সার্ভিস উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় ডিজিটাল সুইচ টিপে তিনি উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন। এরপর দোয়া ও মোনাজত করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সড়ক পথে মাওয়ার উদ্দেশ্যে গণভবন থেকে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধনের জন্য বেলা ১১টায় মাওয়া পৌঁছান শেখ হাসিনা। তিনি মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যও দেন।
উদ্বোধনের পর অতিথিদের নিয়ে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে ট্রেনে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দুপুর ২টায় এক জনসভায় ভাষণ দেবেন।
গত বছরের জুনে যুগান্তকারী পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক বছর দুই মাস পর পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সার্ভিস উদ্বোধন হলো। মোংলা বন্দরকে যুক্ত করায় সদ্য চালু হওয়া এ রেলপথ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে পদ্মা সেতুতে পাথরহীন রেললাইনের কাজ শেষ হওয়ার পর গত ৪ এপ্রিল ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্ত পর্যন্ত ট্রায়াল ট্রেন চালায় বাংলাদেশ রেলওয়ে।
গত বছরের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্প’-এর আওতায় ঢাকা ও যশোরের মধ্যে রেল সংযোগ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯,২৪৬.৮০ কোটি টাকা। এতে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২১,০৩৬.৭০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে।
প্রকল্পের বিশদ বিবরণে বলা হয়েছে, সমাপ্ত হওয়ার পর, রেল যোগাযোগ পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে রাজধানী শহরের প্রবেশ পথ আরো বর্ধিত হবে- যা মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর এবং নড়াইল জেলার নতুন এলাকাকে যুক্ত করবে।
প্রকল্পটি ঢাকা-যশোর-খুলনাকে ২১২.০৫ কিলোমিটার সংক্ষিপ্ত রুট দিয়ে বিকল্প রেলপথ সংযোগ স্থাপন করবে।
এটি বাংলাদেশে ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আরেকটি উপ-রুট স্থাপন করবে এবং জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মালবাহী ও বিজি কন্টেইনার ট্রেন পরিষেবা চালু করবে। এই রুটটি কন্টেইনার বহনের জন্য গতি এবং লোড সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে।