মুন্সিগঞ্জ, ২২ এপ্রিল, ২০২১, সিরাজদিখান প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরায় বিক্রমপুর মেডিসিন কর্ণার নামের একটি ঔষধের দোকানে ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগ উঠেছে।
এ সময় দোকানের ২ কর্মচারী সজল (২২) ও ইফতেকার (১৪) আহত হয়েছে বলে জানা যায়। এ সময় মিতুন নামেও একজন আহত হয়। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার বেলা ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঔষধের দোকানের স্বত্ত্বাধিকারী এ্যাডভোকেট সোহাগ আলম (৩৫) বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি ৪ জনের নামসহ অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনকে আসামী করেছেন।
এ্যাডভোকেট সোহাগ আলম জানান, গত কয়েকদিন আগে মাহমুদুল হাসান পল্লব (৩৬), মিশর তালুকদার (৩৭), জাহির কবির লিপু (৩২) ও আদিত্য (২৫) আমার নিকট প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবী করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আজ (বুধবার পৌনে ১২ টার দিকে) তারা ৪ জনসহ আরো ২৫/৩০ জনকে সাথে নিয়ে আমার দোকানে হামলা করে। সে সময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, লাঠি ও হকি ছিলো। আমি দোকানে ছিলাম না, টেলিফোনে খবর পেয়ে এসে আহত আমার ২ কর্মচারীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেই। আমার কর্মচারী সজলের হাতের ৩ টি আঙ্গুল চাইনিজ কুড়ালের কোপে কেটেছে। আরেক কর্মচারী ইফতেকারকে কিল ঘুষি মেরে নিলা ফুলা জখম করেছে। এ সময় তারা আমার মোটর সাইকেল বিক্রির ১ লাখ ১০ হাজার টাকা টেবিলের ড্রয়ার ভেঙ্গে নিয়েছে। তাছাড়া দোকানের আসবাবপত্র ও দামী ওষুধ ভেঙ্গে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার মত ক্ষতি সাধন করেছে। আমার দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরো আছে। বাকিদের সেখান থেকে ফুটেজ দেখে চিনতে পারবো। আমি থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছি।
মিশর তালুকদার জানায়, সোহাগ যা বলেছে ঘটনা এমন না। এখানে কোন লুটপাট ভাঙচুর হয়নি। ওর ভাই রমেলের সাথে আগের দ্বন্দ্বের কারণে ঘটনাটিকে ভিন্ন দিকে সাজিয়েছে। আর চাঁদাবাজির কথা বলেছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার জানামতে মূল ঘটনা হলো গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর মনু ভাইয়ের ছেলেকে কয়েকজন মোস্তফাগঞ্জ মাদরাসার সামনে আটকে হাতুরী দিয়ে হাত-পা ছেঁচে দিয়েছে। পরদিন সেই গ্রুপের ২ জন ইছাপুরা দিয়ে যাচ্ছিলো, তখন ওরা কয়জন ঐ দুইজনকে ধাওয়া করে। তখন ঐ ঔষধের দোকানে ২ জন ঢোকে, সেখান থেকে বের করার সময় ধস্তা ধস্তি হয়। আমরা ইছাপুরা চৌরাস্তা থেকে খবর পেয়ে ওদের ছাড়াতে যাই। এর বেশি আমি জানি না, বিস্তারিত পল্লব ও লিপু বলতে পারবে। পল্লব ও লিপুর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেস্টা করে পাওয়া যায়নি।
সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনের সাথে যোগাযোগে ব্যার্থ হলে, থানা ডিউটি অফিসার জানান, এ্যাডভোকেট সোহাগ আলমের একটি অভিযোগ জমা আছে, ওসি স্যার বাহিরে আছেন, চরপানিয়া একটি দল রয়েছে। নিমতলা সড়কে আরেক দল। সবাই ব্যাস্ত থাকায় এখনো কেউ তদন্তে যেতে পারেন নি। ওসি স্যারের নির্দেশে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।